অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।
দুইয়ের কম সন্তান হলে কি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করা যাবে না অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চায়েত বা পুরসভা নির্বাচনে? তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। তিনি বলেন, “আগে আমাদের (অন্ধ্রপ্রদেশে) নিয়ম ছিল দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে তাঁরা পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে লড়তে পারবেন না। এখন আমি বলছি, কম সন্তান থাকলে তাঁদের ভোটে লড়তে দেওয়া উচিত নয়।”
স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিন দশক ধরে চলে আসা নিয়ম বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে চন্দ্রবাবুর সরকার। গত নভেম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশ পঞ্চায়েত রাজ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ পুরসভা আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ পাশ হয়। বিলের মূল বিষয় হল, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেও অন্ধ্রপ্রদেশের পঞ্চায়েত এবং পুরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যেতে পারে। এই দু’টি বিল আইনে পরিণত হলেই বদলে যাবে ১৯৯৪ সাল থেকে চলে আসা নিয়ম। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, কারও দুইয়ের কম সন্তান থাকলে, তাঁদের পুরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে দিতে চান না তিনি।
চন্দ্রবাবু বলেন, “আপনাদের বাবা-মায়েরা চার-পাঁছ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এখন আপনারা তা এক সন্তানে নামিয়ে এনেছেন। অনেকে তো আবার দু’জনেই উপর্জান করার ইচ্ছায় সন্তান ধারণই করেন না। যদি তাঁদের বাবা-মায়েরাও এমন ভাবতেন, তবে তাঁদের এখন কোনও অস্তিত্বই থাকত না।”
১৯৯৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় দু’সন্তান বিষয়ক বিল পাশ হয়েছিল। তার পর থেকে দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে কেউ অন্ধ্রের পুরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। জনসংখ্যার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এ বার সেই নিয়মে বদল আনার পথে চন্দ্রবাবুর নেতৃত্বাধীন টিডিপি সরকার।
এ বছর অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করেন চন্দ্রবাবু। গত ৭ অগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে জনসংখ্যায় ভারসাম্য রাখতে এবং আর্থসামাজিক প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে তিন দশক ধরে চলে আসা নিয়ম বদলের প্রয়োজন মনে করছেন তিনি। ওই বৈঠকের পর অন্ধ্রের তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী কোলুসু পার্থসারথি জানিয়েছিলেন, দেশে মহিলাপিছু প্রসবের হারের তুলনায় অন্ধ্রপ্রদেশের হার অনেকটাই কম। দেশে মহিলাপিছু প্রসবের হার ২.১১। সেখানে অন্ধ্রে মহিলাপিছু প্রসবের হার ১.৫।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy