মেলায় আশপাশের ৫২টি গ্রাম থেকে জড়ো হয়েছেন মহিলারা। অঙ্গারমতী দেবীর মন্দিরের সামনের রাস্তায় প্রায় দু’শো মহিলা উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছেন। আর মন্ত্র পড়তে পড়তে তাঁদের পিঠের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছেন পতাকাধারী পুরোহিত-ওঝারা। দেবী অঙ্গারমতীর কাছে এ ভাবে প্রার্থনা করলেই নাকি সন্তানসম্ভবা হবেন তাঁরা। স্থানীয়দের একাংশের মনে বদ্ধমূল সে ধারণা।
দেওয়ালির পর প্রথম শুক্রবার বসে মড়ই মেলা। স্থানীয়দের মতে, এটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো প্রথা। একইসঙ্গে স্থানীয় দেবী অঙ্গারমতীর আরাধনাও চলে। তাতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের জমায়েত হয়। তবে মেলায় মহিলাদের উপর পুরোহিত-ওঝার হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যে স্তম্ভিত বহু নেটাগরিক। ছত্তীসগঢ়ের আদিবাসী এলাকার ওই প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
মেলায় যোগ দেওয়ার পর অনেকে সন্তানলাভ করেছেন, এমন ঘটনার কথা মানতে নারাজ দীনেশ মিশ্র। বিজ্ঞানের প্রসারে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছত্তীসগঢ়ের এই চিকিৎসকের লড়াই ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। দীনেশের মন্তব্য, ‘‘বিজ্ঞানের এতটাই অগ্রগতি হয়েছে, যে সন্তানধারণের জন্য অজস্র উপায় রয়েছে। ফলে এ ধরনের প্রথাকে উৎসাহ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।’’
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করেই স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা প্রসারের পক্ষে সওয়াল করেছেন কিরণময়ী নায়েক। ওই এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই প্রথা বিলোপের জন্য স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে কথাবার্তা চালানো হবে। তা ছাড়া, কী ভাবে সহজে সন্তানধারণ করা যায়, সে সম্পর্কেও তাঁদের বোঝানো হবে।’’
জেলা প্রশাসনের নির্বিকার থাকলেও নিশ্চুপ থাকেননি দীনেশ। তাঁর দাবি, ‘‘নিজেদের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী সকলেই প্রার্থনা করতে পারেন। তবে এই ধরনের প্রথা অমানবিক এবং অবৈজ্ঞানিক। এতে যে মহিলারা মাটির উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছেন, তাঁদের গুরুতর চোটআঘাত লাগারও আশঙ্কা রয়েছে। কুসংস্কারের বশে মানুষজন যেন মধ্যযুগেই পড়ে রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy