প্রতীকী চিত্র।
ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি সম্ভাব্য করোনা-টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন জে এন মেডিক্যাল কলেজে। আর সেই পরীক্ষায় প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মনসুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যদের এগিয়ে আসতে উৎসাহ দিতেই উপাচার্যের এই পদক্ষেপ। টিকা পরীক্ষায় সব বয়সের ও সমস্ত আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীর মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়ে উপাচার্য বলেছেন, ‘‘স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা গ্রহণ করলে বিরাট পরিবর্তন আনতে চলা একটি গবেষণা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে।’’ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহিদ আলি সিদ্দিকী বলেছেন, টিকা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক, সমাজকর্মী ও আইনজীবীদের নিয়ে এথিক্যাল কমিটি তৈরি করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম নথিভুক্তিও শুরু হয়েছে। আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনেই তাঁদের পথ-খরচ ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
কোভ্যাক্সিন, অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি-র পাশাপাশি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ৯০ শতাংশ সফল হওয়া ফাইজ়ারের সম্ভাব্য টিকা নিয়েও ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এখন বাড়তি আশাবাদী। তবে ফাইজ়ারের টিকা যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ নিয়ে কিছুটা চিন্তাও রয়েছে তাঁদের। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানান, ওই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে এর জন্য বিশেষত গ্রামাঞ্চলে উপযুক্ত ‘কোল্ড চেন’ তৈরি রাখাটা প্রয়োজন। কিন্তু এটিই ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে চ্যালেঞ্জের।
আরও পডুন: বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ওয়েইসি লড়বেন বঙ্গে
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ টুইটারে লেখেন, ‘‘ফাইজ়ার সম্ভাবনাময় টিকা তৈরি করেছে ঠিকই, কিন্তু সমস্ত ভারতীয়ের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার পথও খুঁজতে হবে। টিকা দেওয়া নিয়ে ভারত সরকারকে একটি রণকৌশল তৈরি করতে হবে।’’ রাহুল তাঁর টুইটের সঙ্গে একটি সংবাদ প্রতিবেদনও জুড়ে দিয়েছেন যাতে বলা হয়েছে, মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেখে ফাইজ়ারের টিকা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো কোনও ভারতীয় কোল্ড চেন সংস্থার নেই। এত কম তাপমাত্রায় এই টিকা সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও।
বিশেষজ্ঞেরা সেই কারণেই টিকা না-আসা পর্যন্ত সতর্কতাবিধির পুরনো মন্ত্র ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন। গুলেরিয়া বলেছেন, দিল্লিতে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্যবিধি উড়িয়ে বিরাট জমায়েতের মতো ‘সুপার স্প্রেডিং’ থামাতেই হবে। রাজধানীতে এই প্রথম বার ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা আট হাজার পেরিয়েছে। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮৫৯৩। কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের গতিবিধি ও জমায়েতে ছাড় দেওয়া নিয়ে আজ দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বক্তব্য, রাজধানীতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের স্থায়িত্ব সেপ্টেম্বরে আসা দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়ে বেশি। তবে দ্রুত তা কমেও আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy