স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা) প্রত্যাহার করার ব্যাপারে বড় ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘উপত্যকা থেকে আফস্পা আইন তুলে নেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে।’’
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ দাবি করেন, ‘‘জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের উপর বিশ্বাস করা হত না। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন এই পুলিশ বাহিনীই অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’’ তার পরই শাহ আফস্পা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান।
জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে আফস্পা জারি করেছিল কেন্দ্র। শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও আফস্পা বলবৎ করা হয়েছিল। বছর দুই আগে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমের একাংশ থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭০ শতাংশ এলাকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও একই জিনিস কার্যকর হবে।
শাহ আরও জানান, সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি তা পূরণ করবেন। ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের ছবি পাল্টে গিয়েছে। পাশাপাশি, তিনি মেহবুবা মুফতি এবং ফরুক আবদুল্লাহর শাসনকালের সঙ্গে তুলনা টানেন।
শাহ বলেন, ‘‘আবদুল্লাহ এবং মেহবুবার সময়ে একাধিক ভুয়ো এনকাউন্টার হত। কিন্তু গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে একটিও ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি। উল্টে যাঁরা এই সব কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করব। মোদী সরকার সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ১২টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে।’’ স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সফল করতে চাই আমরা।’’ এর পরই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়েও মন্তব্য করেন শাহ। তাঁর কথায়, সকলকে মনে রাখতে হবে পিওকে ভারতেরই অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy