E-Paper

পিএম কেয়ার্স: শাহ ওড়ালেন দুর্নীতি-দাবি

করোনা কালে পিএম-কেয়ার্স তহবিলে কত টাকা জমা পড়ছে, সেই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে— তা নিয়ে গোড়া থেকেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। এমনকি তথ্যের অধিকার আইনে ওই তহবিলের জমা-খরচ নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করতে চায়নি প্রধানমন্ত্রী দফতর।

অমিত শাহ।

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ০৬:০৩
Share
Save

করোনা কালে প্রধানমন্ত্রীর নামে বানানো হয়েছিল পিএম-কেয়ার্স তহবিল। সেই তহবিলের খরচ ঘিরে গোড়া থেকেই নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছিল। আজ রাজ্যসভায় সংশোধিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল নিয়ে আলোচনায় পিএম-কেয়ার্স নিয়ে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে, উল্টে কংগ্রেস আমলে কী ভাবে একটি পরিবার ‘প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড’-এর তহবিল নিয়ে দুর্নীতি করেছিল, তা-ই নিয়ে সরব হলেন অমিত শাহ।

করোনা কালে পিএম-কেয়ার্স তহবিলে কত টাকা জমা পড়ছে, সেই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে— তা নিয়ে গোড়া থেকেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। এমনকি তথ্যের অধিকার আইনে ওই তহবিলের জমা-খরচ নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করতে চায়নি প্রধানমন্ত্রী দফতর। আজ সংশোধিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল নিয়ে আলোচনায় ফের পিএম-কেয়ার্স তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। জবাবি বিতর্কে অমিত শাহ মূলত কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘এনডিএ সরকারের আমলে গড়া পিএম-কেয়ার্স তহবিলের অর্থ কোভিডের টিকা, চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর কেনার কাজে খরচ হত। কী খাতে ওই অর্থ খরচ হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সচিব। ফলে দুর্নীতি হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ এর পরেই ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের উদাহরণ টেনে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলে ওই তহবিল নিয়ন্ত্রণ করত একটি পরিবার। ওই ত্রাণ তহবিলের সদস্য ছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের অর্থ যেত পরিবার পরিচালিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে। অর্থসাহায্য দেওয়ার প্রশ্নে কোনও স্বচ্ছতা ছিল না। অর্থ খরচ দেখার পিছনে কোনও কমিটিও ছিল না। কংগ্রেস এর পরে দেশের জনতাকে কোন মুখে জবাব দেবে?’’

আজ বিতর্কে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যকে দাবি মতো অর্থ না দেওয়ার অভিযোগে সরব হন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বুলবুলের সময়ে ৭৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ১৩ শতাংশ অর্থ। আমফানের ক্ষেত্রে দাবি করা অর্থের ছয় শতাংশ দিয়েছিল কেন্দ্র।’’ জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘‘ইউপিএ আমলের তুলনায় মোদী সরকারের আমলে রাজ্যগুলিকে তিন গুণ বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে ২০০৪-১৪ সালে ইউপিএ সরকার যেখানে ৩৮ হাজার কোটি দিয়েছিল, মোদী সরকার সেখানে ২০১৪-’২৪ সালে রাজ্যগুলিকে ১.২৪ লক্ষ কোটি টাকা দেয়।’’ কেন রাজ্যগুলির দাবি মতো অর্থ বিপর্যয় খাতে দেওয়া হয় না, সেই ব্যাখ্যায় শাহ বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুধেল গরু মারা গেলে, বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, লাইট পোস্ট উপড়ে গেলে কত টাকা কেন্দ্রীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তার পরিমাণ বেঁধে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। সেই শর্ত মেনে আবেদন করলেই দাবি মতো অর্থ পেতে পারে রাজ্যগুলি। কিন্তু নিজেদের ইচ্ছে মতো টাকা দাবি করা হবে এবং সেই টাকা পরে খয়রাতির রাজনীতিতে ব্যবহার হবে, সে জন্য কেন্দ্র টাকা দিতে অপারগ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Amit Shah PM CARES PM CARES Fund Congress

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।