প্রতীকী ছবি।
কে নেই তালিকায়! উত্তরপ্রদেশের এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকার শংসাপত্রে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, এমনকি বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের নামও। যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত প্রশাসনিক কর্তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের এটাওয়া জেলার তাখার এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। এই ঘটনাকে ঘিরে টিকার ভুয়ো শংসাপত্রের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই শংসাপত্রে শাহের বয়স লেখা হয়েছে ৩৩, গডকড়ীর বয়স ৩০, বিড়লার বয়স ২৬ এবং গয়ালের বয়স ৩৭। শংসাপত্র অনুযায়ী শাহেরা গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম টিকা নিয়েছেন এটাওয়ার সরসাইনবর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। দ্বিতীয় টিকার তারিখ দেওয়া হয়েছে ২০২২-এর ৫ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে।
শংসাপত্রে যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেখান থেকে আদৌ কোনও টিকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছে সরসাইনবর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের দাবি, “১২ ডিসেম্বর আমাদের আইডি হ্যাক করা হয়েছে। সেই আইডি বন্ধ করার জন্য চিঠি লিখেও জানিয়েছি।”
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক ভগবান দাস ভিরোরিয়া এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, “ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম ব্যবহার করেছেন শংসাপত্রে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। শংসাপত্রের ভুয়ো চক্র খুব শীঘ্রই ফাঁস করা হবে।”
কয়েক দিন আগে বিহারে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাপ্রাপকদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার নাম প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনাতেও ভুয়ো চক্রের অভিযোগ উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy