গত কয়েক বছরে দেশ থেকে মাওবাদীদের হটাতে বার বার তৎপর হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরেও বার বার দাবি করেছেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করবে সরকার। সেই আবহেই রবিবার প্রাক্তন মাওবাদী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নতুন জীবনে ফেরার জন্য উৎসাহ জোগালেন প্রাক্তন ‘দেশদ্রোহী’দের।
আরও পড়ুন:
রবিবার ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অসমের মোট ৩০ জন প্রাক্তন মাওবাদী নেতার সঙ্গে দেখা করেন শাহ। সংখ্যাটা কম হলেও নেহাত নগণ্য নয়, বরং এই সাক্ষাৎকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি আজ সব চেয়ে খুশি যে, দেশের তরুণ মাওবাদীরা বুঝতে পারছেন হিংসার পথে গিয়ে কোনও লাভ নেই। তাঁরা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন।’’ শাহ আরও জানান, কেন্দ্রের নীতি মেনে ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ২০টি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছেন প্রায় ৯ হাজার মাওবাদী। তাঁদের সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাক্তন মাওবাদীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১৫ হাজারটি বাড়ির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে গবাদি পশু দেওয়া হবে, যাতে তারা দুধ বিক্রি করে জীবিকানির্বাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে শাহ একাধিক বার দাবি করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের অন্তিম দিন হতে চলেছে। তার আগেই দেশ থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করতেও উৎসাহ দিয়েছে রাষ্ট্র। ধরা দেওয়া মাওবাদীদের চাকরির সংস্থান, স্বাস্থ্য-সহ যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নয়া নীতিতে মাওবাদীদের নির্মূলের পথে ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে সরকার। চলতি বছরে সরকারি হিসাবে ২০৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এক বছরে এত মাওবাদী বিনাশের দৃষ্টান্ত আর নেই। এখন কেবলমাত্র ছত্তীসগঢ়ের চার জেলায় মাওবাদীদের অস্তিত্ব রয়েছে।