—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকার তখন সবে তিন বছর পার করেছে। কয়েক জন মন্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই সময় তিনি সরকারের কোনও পদেও ছিলেন না, অথচ মন্ত্রীদের জানিয়ে দিলেন ইস্তফা দেওয়ার জন্য।
সেই মন্ত্রীদের ইস্তফার পরেই সরকারের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভার রদবদল করলেন মোদী। অমিতই যে বিদায়ী মন্ত্রীদের ইস্তফা দিতে বলেছিলেন, প্রকাশ্যে তা জানিয়েও দিয়েছিলেন রাজীবপ্রতাপ রুডি। এ বারের লোকসভায় রুডি ফের জিতে এসেছেন। কিন্তু সে দিনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর মন্ত্রী হননি।
দলের সভাপতি হওয়ার পর থেকে একই পদ্ধতিতে কাজ করেন অমিত। তাঁর সাফ বার্তা— ‘কাজ দেখিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করুন, না হলে কোনও ঠাঁই নেই।’ নিজের টিমেও যেমন এই মন্ত্র নিয়ে তিনি চলেন, তেমনই ভোটে প্রার্থী করার সময়েও সে কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর লোকসভা ভোটের সময় সব প্রার্থীকে এ ভাবেই বদলে দিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে অমিত পা রেখেছেন সবে দিন দশেক হয়েছে, এই বার্তাটিই তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন নর্থ ব্লকের করিডরে। দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমন এক কর্তার কথায়, ‘‘গোটা মন্ত্রকের কর্মসংস্কৃতিই বদলে গিয়েছে। সবাই বুঝে গিয়েছেন, এখানে টিকে থাকতে হলে বদলাতে হবে। মন্ত্রকে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা আমাদেরই প্রমাণ করতে হবে।’’
আধিকারিকদের সঙ্গে প্রথম দিনের বৈঠকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশহিতকে মাথায় রেখে দ্রুত সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনও বিষয় আটকে থাকলে, সেটি কী কারণে আটকে রয়েছে, অবিলম্বে তা জানাতে হবে। নতুন আর কী কাজ করা যায়, নতুন কী ভাবনা বার করা যায়, সে সবও জানাতে হবে প্রত্যেককে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মন্ত্রকের পুরনো ফাইলে ধুলো ঝাড়া শুরু হয়েছে।
পি চিদম্বরম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় মন্ত্রকে বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। যাতে কর্মীরা দফতরে কখন আসছেন, কখন বেরোচ্ছেন, তা বোঝা যায়। কিন্তু চিদম্বরম নিজে গোটা দিন মন্ত্রকে কাটাতেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বাবুদের এখন চাপ বেড়েছে, মন্ত্রী নিজেই সকাল দশটায় দফতরে চলে আসছেন। থাকছেন গোটা দিন। এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করছেন। সম্প্রতি ইদের দিনেও দফতরে কাজ করেছেন। ফলে আমলাদেরও আসতে হয়েছে। মন্ত্রকের পাশাপাশি দলের সংগঠন নিয়েও এখন নতুন করে ভাবছেন অমিত।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy