—ফাইল চিত্র।
আপাতত বিজেপি সভাপতি পদে থাকছেন অমিত শাহই। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটও হবে তাঁর নেতৃত্বে। লোকসভা নির্বাচনে দলকে তিনশো পার করানোর পরেও বিজেপি ‘শিখরে’ পৌঁছেছে বলে মানছেন না অমিত। তিনি নিজেই বলেছেন, বাংলা-সহ সব রাজ্যে ক্ষমতা দখল করার পরেই শিখরে পৌঁছেছেন বলে মানবেন।
মোদী সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, এ বারে কি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে সরে গিয়ে অন্য কাউকে বসাবেন অমিত? উত্তরসূরি হিসেবে জগৎ প্রকাশ নাড্ডা থেকে ভূপেন্দ্র যাদবের মতো নামও ঘোরাফেরা করছিল। পাঁচ বছর আগে মোদী যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, সেই সময় দলের সভাপতি ছিলেন রাজনাথ সিংহ। কিন্তু তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে দুই মাসের মধ্যে সভাপতির কুর্সিতে বসে পড়েন অমিত শাহ।
কিন্তু আজ বৈঠকের ফাঁকে বেরিয়ে ভূপেন্দ্র যাদবের মতো অমিত-ঘনিষ্ঠ নেতা যে ইঙ্গিত দিলেন, সেই মোতাবেক এ বারে পদ্ধতিটি উল্টো হবে। সভাপতি পদে থেকেই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাজ্যে রাজ্যে মন্ডল স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত নির্বাচন হবে। সেখানে পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পূর্ণ হলে তবেই সর্বভারতীয় স্তরে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়া হতে প্রায় মাস ছয়েক লেগে যাবে। যার মানে, চলতি বছরের শেষে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে ভোট হবে অমিত শাহের নেতৃত্বেই।
আরও প্রায় ২ কোটি ব্যক্তিকে বিজেপির সদস্য করার লক্ষ্য নিয়ে আজ থেকেই দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু করলেন অমিত। তার জন্য গোটা দেশের দলের নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। বিজেপির সদর দফতরে আজ দিনভর বৈঠকেও বাড়তি গুরুত্ব পায় বাংলা। ওঠে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমেও বাংলার বিধানসভায় জোর দিতে বলা হল। আর অমিত নিজে বললেন, ‘‘লোকসভা ভোটের জয়কে আমরা বিজেপির কোনও কর্মী যেন সর্বোচ্চ মনে না করি। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সব বুথকে মজবুত করতে হবে বিজেপিকে। যখন বাংলা, কেরল ও অন্য রাজ্যে বিজেপির সরকার হবে, তখনই আমাদের সর্বোচ্চ সময় হবে।’’
আপাতত আজ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের হাতে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ভার দেওয়া হয়েছে। আগেই তাদের সদস্যসংখ্যা ১১ কোটি বলে দাবি করেছিল বিজেপি। এ বারে আরও ২০ শতাংশ নতুন সদস্য যোগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সভাপতি পদে থাকতে থাকতেই অমিত রাজ্যে-রাজ্যে নতুন সভাপতি নিয়োগ করে দিতে চান। যাতে পরে পদ ছেড়ে দিলেও রাজ্যের সভাপতিদের আনুগত্য তাঁর প্রতিই থাকে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy