শ্রীনগরে সেই লালচকের ক্লক টাওয়ার। ফাইল চিত্র।
৩০ বছর পেরোনোর পরে ২০২২ সালে সেখানে আবার তোলা হয়েছিল জাতীয় পতাকা। এ বার শ্রীনগরের সেই লালচকে জঙ্গি এবং পাক সেনার হামলায় নিহত নিরাপত্তা কর্মীদের স্মরণে ‘শহিদ স্মৃতিসৌধ’ গড়ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার পোশাকি নাম ‘বলিদান স্তম্ভ’।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে রাজধানীর ওই এলাকার উদ্যানে সেই স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হা। দু’দিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়ে শনিবার শাহ ‘শ্রীনগর স্মার্ট সিটি’ প্রকল্পের অধীন ‘বলিদান স্তম্ভের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বলেন, ‘‘যে বীর সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তির জন্য জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের এই শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’
প্রসঙ্গত, একদা পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলে পরিচিত ছিল লালচক। ১৯৯২ সালে বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি মুরলী মনোহর জোশী সেখানে জাতীয় পতাকা তুললে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিদের বাধার মুখে পড়েছিলেন। জোশীর পর দীর্ঘ তিন দশক লালচকে ওড়েনি ‘তেরঙা’। শেষ পর্যন্ত গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে সেখানকার ক্লক টাওয়ারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতার পরে প্রথম বার প্রজাতন্ত্র দিবসে ক্লক টাওয়ারে ওড়ে জাতীয় পতাকা।
জুলাই মাসে থেকে কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতেকলমে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজের শিলান্যাস করতে শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন শাহ। দু’দিনের সফর শেষে শনিবার দুপুরে দিল্লি ফেরার কথা তাঁর। এর পর বিকেল ৩টেয় সংসদ ভবনে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy