অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
অর্থনীতি ঝিমোচ্ছে, নতুন লগ্নি নেই, আর্থিক বৃদ্ধিও পড়তির দিকে— এমন সঙ্কটের স্বীকারোক্তি আসছে সরকারের অন্দরমহল থেকেই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহের দাবি, ‘‘অর্থনীতি সব থেকে দ্রুতগতিতে বাড়ছে।’’
আজ একটি নিবন্ধে বিজেপি সভাপতি লিখেছেন, ‘‘ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন, পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ, দুর্নীতি দমন, আইনের সরলীকরণ, জিএসটি-সহ নানা প্রচেষ্টায় ব্যবসা করা আরও সহজ হয়েছে। এর ফলে সব থেকে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা ভারতের অর্থনীতি পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের দিকে এগোচ্ছে। যে-ভাবে করদাতাদের সংখ্যা ও কর আদায় বাড়ছে, সেটি মোদী সরকারের উপর আস্থা ও দেশের উন্নয়নের শরিক হওয়ার প্রতীক।’’
বেশ কয়েক দিন ধরেই অর্থনীতির বেহাল দশার থেকে নজর ঘোরানোর জন্য একের পর এক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিজেপি ‘ফাঁদ’ পাতছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘কখনও কাশ্মীর, কখনও পি চিদম্বরম, কখনও বা সংরক্ষণের বিষয় সামনে আনছে গেরুয়া শিবির। যাতে অর্থনীতির সঙ্কট প্রকাশ্যে না-আসে। তা সত্ত্বেও নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারই বলে ফেললেন, গত সত্তর বছরে এমন সঙ্কট হয়নি।’’
এই অবস্থায় আজ অমিত শাহ অর্থনীতি নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন। এ বার গোটা বিজেপি এই অবস্থান প্রচারে নেমে পড়বে। আজ বিকেল গড়াতেই আসরে নামেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের পরে অমিত টুইট করেন, ‘‘গোটা বিশ্বে মন্দা সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি প্রাণবন্ত। আমাদের সরকার বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক ভাবে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: শিল্পের হাল ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
বিজেপি সূত্রের মতে, সামনের মাসেই মোদী সরকারের একশো দিন পূর্ণ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সচিবালয়, নীতি আয়োগকে নির্দেশ দিয়েছেন, একশো দিনের সাফল্য তুলে ধরার প্রস্তুতি নিতে। সেই মোতাবেক সব মন্ত্রকের কাছে কাজের হিসেব চাওয়া হচ্ছে। দেড়শোর বেশি ‘বড় কাজ’ কী ভাবে অর্থনীতির মোড় ঘোরাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে তার খসড়া।
কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে মোদীর দাবি নস্যাৎ করতে আসরে নেমেছেন রাহুল গাঁধী। আজ তিনি টুইট করেন, ‘‘বহু দিন ধরেই ভারতের অর্থনীতির দুর্দশা নিয়ে আমরা সতর্ক করে আসছি। সরকারেরই আর্থিক উপদেষ্টা তা অবশেষে কবুল করলেন। এখন আমাদের প্রস্তাব মেনে অর্থনীতিতে নগদ ফিরিয়ে সমস্যার সমাধান করুন। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের হাতে টাকা দিন, যাঁরা লোভী তাঁদের নয়।’’
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের ইস্তাহারে রাহুল গাঁধী গরিবদের ব্যাঙ্ক খাতে মাসে ৬ হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘ন্যায়’। গত কয়েক দিন ধরে প্রিয়ঙ্কাও মন্দা নিয়ে সরব। আজ ফের তিনিও টুইট করে বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারের দেশকে সরাসরি বলা উচিত, অর্থনীতির এই দুর্দশা কেন হচ্ছে? ব্যবসা চৌপাট হচ্ছে, শিল্প নড়বড়ে, টাকা দুর্বল, রোজগার শেষ হচ্ছে। এই লোকসান কে পূরণ করবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy