—ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেউদ্ধব ঠাকরের ইস্তফাপত্র চায় বিজেপি। আর চায় মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত। এর কোনওটাই না হলে মহারাষ্ট্র সরকারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার আবেদন জানিয়েছে তারা। সোমবার সংসদে বিজেপি সাংসদদের এই দাবি, তার পাল্টায় শিবসেনার জবাব নিয়ে দিনভর তপ্ত হয়ে রইল সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। শেষে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বলার সুযোগ না দেওয়ায় সংসদ কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন শিবসেনার সাংসদরা।
অনিলের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিজেপি-র এই দাবি। তার জেরে বিজেপি সাংসদদের বিক্ষোভে সোমবার দিনভর গন্ডগোল চলল সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশনে। বিজেপি সাংসদরা প্রশ্ন তোলেন, এই বিপুল তোলাবাজির অভিযোগ সত্ত্বেও কেন অনিলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্র সরকার? বিজেপি সাংসদরা এমনও দাবি করেন, অনিলকে বাঁচানো হচ্ছে। কারণ, তিনি মুখ খুললে মহারাষ্ট্রের আরও আরও বড় বড় নেতার মুখোশ খুলে যাবে।
সোমবার সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশনে দফায় দফায় এই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁদের বিক্ষোভ এবং শিবসেনার পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘটনায় এমন গোলমাল বাধে যে, অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। ‘মহরাষ্ট্র সরকার বরখাস্ত করো’ দাবি তুলে সংসদের দুই কক্ষে রীতিমতো হুলস্থুল ফেলে দেন বিজেপি সাংসদরা। পাল্টা শিবসেনা বলে যারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিবাজ তারাই আবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। শেষে শিবসেনা সাংসদরা ওয়াক আউট করেন অধিবেশন কক্ষ থেকে।
যদিও এই গোটা পর্বে কংগ্রেস ছিল নীরব দর্শক। শিবসেনা ওয়াক আউট করার পরেও সংসদেছিল তারা। মহারাষ্ট্রে এখন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মহাবিকাশ আগাড়ির সরকার। সোমবার সংসদের এই গোলমাল চলাকালীন শিবসেনা ওয়াক আউট করলেও এনসিপি সাংসদরাও অধিবেশন কক্ষেই ছিলেন।
অনিলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ। সদ্য অপসারিত ওই পুলিশ কর্তা এখন মহারাষ্ট্র হোমগার্ডের ডিজি। মহারাষ্ট্র সরকারকে লেখা একটি চিঠিতে পরমবীর জানান, তিনি সম্প্রতি জানতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলা আদায়ের জন্য পুলিশের একটি বিশেষ দলকে ব্যবহার করতেন। যদিও এনসিপি-র নেতা অনিলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উড়িয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেন, ‘‘অনিলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ মিথ্যে। যে সময়ের কথা পরমবীর বলেছেন, সেই সময় অনিল করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy