আপ এবং কংগ্রেসের ঐক্যের ‘জোরালো প্রয়োজন’ রয়েছে বলে মনে করেন অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, দিল্লির নির্বাচনে এই দুই দলের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একজোট হয়ে লড়া উচিত ছিল।
দিল্লির বিধানসভা ভোটে একাধিক আসনে জয়ী বিজেপি প্রার্থী ও পরাজিত আপ প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী। শান্তিনিকেতনের বাড়িতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নবতিপর অর্থনীতিবিদও এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, দিল্লিতে যাঁরা হিন্দুত্ব-ঘেঁষা সরকার চাননি, তাঁদের মধ্যে একতার অভাব আপের ভোট-বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। অমর্ত্য বলেন, ‘‘আমি মনে করি না, আপ এই কথাটা স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে পেরেছে যে, তারা একান্ত ভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ এবং সব ভারতীয়ের পক্ষে। এখানে হিন্দুত্বের প্রতি ঝোঁক ছিল বড় বেশি। কাজেই এখনও পরিষ্কার নয়, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তারা কতটা দায়বদ্ধ। আপ কোনও স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি।’’
স্কুলশিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপের উদ্যোগের প্রশংসা করে নোবেলজয়ী বলেছেন, এই বিষয়গুলিতে এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় আরও জোর দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে পারত আপ। উল্টে তারা প্রতিপক্ষ হয়ে গেল। অমর্ত্যের মতে, দিল্লির ভোট এমন এক যুদ্ধ ছিল, যা আপ এবং ইন্ডিয়া মঞ্চের হারা উচিত ছিল না। উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে। নোবেলজয়ী বলেছেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টি লোকসভা ভোটের সময়ে যেটা করেছিল, যেমন হিন্দুত্বের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করা— সেটাই করতে হবে আরও জোরালো ভাবে। আপের নির্বাচনী বিপর্যয় থেকে এই শিক্ষাই নেওয়া উচিত। অধিকাংশ ভারতীয়ই হিন্দু রাষ্ট্র চান না।’’ সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)