দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পরে আজ ভোরে গুয়াহাটির উলুবাড়ির বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ ও সমাজবিদ অমলেন্দু গুহ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কট্টর বামপন্থী অমলেন্দুবাবু তাঁর চোখ নেত্রালয়ে ও দেহ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে দান করে গিয়েছেন।
তাঁর বাবা যামিনীসুন্দর গুহ ময়মনসিংহ থেকে মণিপুরে শিক্ষকতা করতে আসেন। ১৯২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ইম্ফলে জন্মগ্রহণ করেন অমলেন্দুবাবু। বাবার অবসরের পর গুহরা গুয়াহাটি চলে আসেন। পল্টনবাজার বেঙ্গলি হাই স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন অমলেন্দুবাবু। এরপর আইএ পরীক্ষায় চতুর্থ হওয়া অমলেন্দুবাবু বৃত্তি পেয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে গুয়াহাটিতে কিছুদিন শিক্ষকতার পরে তিনি অসমের দরং কলেজে অধ্যাপক হন। দিল্লির স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এ বিংশ শতকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ইতিহাসের উপরে গবেষণা করেন তিনি।
১৯৬২ সালে তিনি কবি ও গায়ক বিষ্ণু রাভার সঙ্গেই গ্রেফতার হন। ছ’মাস ভুবনেশ্বরের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ ভাগটা উলুবাড়ির বাড়িতেই কাটান তিনি। স্ত্রী অনিমা গুহ অসমের নামকরা লেখিকা ও সমাজসেবী। অমলেন্দুবাবুর বিখ্যাত বই ‘প্ল্যান্টার্স-রাজ টু স্বরাজ’। অসমীয়া কাব্যগ্রন্থ তুমালৈ এবং বাংলা কবিতার বই ‘লুইত পারের গাথা’ও জনপ্রিয় হয়। অসম সাহিত্য সভা তাঁকে সাহিত্যাচার্য উপাধি দেয়। অমলেন্দুবাবুর এক পুত্র।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এমন এক ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিকের শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়। তিনি রাজ্যস্তরের সম্মানে অমলেন্দুবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবার নির্দেশ দেন। তাঁর দেহ কটন কলেজ ও সিপিআইএম দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জায়গাতেই গুণমুগ্ধ, সাহিত্যিক, রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদরা অমলেন্দুবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy