(বাঁ দিকে) ভাবিক এবং পায়েলের বিয়ের ছবি এবং খুনের মামলায় গ্রেফতার দুষ্কৃতীরা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
তুতো দাদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গুজরাতের গান্ধীনগরের এক তরুণী। কিন্তু পরিবার দেখাশোনা করে বিয়ে দেয় আমদাবাদের এক তরুণের সঙ্গে। ওই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তরুণী। অভিযোগ, সেই কারণে দুষ্কৃতীদের দিয়ে স্বামীকে অপহরণ করিয়ে খুন করান তিনি। ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই তরুণীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করেছে তিন দুষ্কৃতীকেও।
গান্ধীনগরের বাসিন্দা পায়েলের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিয়ে হয় আমদাবাদের ভাবিকের। বিয়ের পরে পায়েল বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। শনিবার তাঁকে গান্ধীনগরের বাড়ি থেকে আনতে যান ভাবিক। কিন্তু পায়েলের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মাঝরাস্তায় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পায়েলের পরিবারের লোকেরাই ভাবিকের বাড়িতে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানান, ভাবিক গান্ধীনগরের বাড়িতে পৌঁছননি। খবর দেওয়া হয় থানাতেও। পুলিশ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সেই সময় মাঝরাস্তায় ভাবিকের বাইক পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা।
সেই সূত্র ধরে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ। তাতে জানা যায়, তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী একটি গাড়ি নিয়ে ভাবিকের বাইকে ধাক্কা মারে। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে, তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের চার দিন পরেই এ ভাবে অপহরণের ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ যায় পায়েলের দিকে। পুলিশি জেরার মুখে চাপ সামলাতে না পেরে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন তরুণী। পুলিশকে তিনি জানান, তুতো দাদার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। তিন দুষ্কৃতীকে ভাড়া করার কথাও জেরায় স্বীকার করেন তিনি।
পায়েলের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিন দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশকে তাঁরা জানান, ভাবিককে অপহরণের পর ওই গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে একটি খালে তাঁর দেহ ভাসিয়ে দেন দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় ইতিমধ্যে অপহরণ, খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy