হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর আগে পড়শি গ্রামের এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে পালিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের যুবক রাহুল। দু’মাস একসঙ্গে থাকার পর আবার বাড়ি ফিরে আসেন। মহিলার পরিবার বদনামের ভয়ে সেই ঘটনা চেপে গিয়েছিল বলে দাবি আলিগড়ের বধূ অনিতার স্বামী জিতেন্দ্রের।
জিতেন্দ্রের আরও দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন। তিনি বলেন, ‘‘অনিতা আমাকে বলেছিল যে, মেয়ের সঙ্গে হবু জামাই কথা বলতে চায়। তাই একটা ফোন কিনে দেওয়া উচিত হবু জামাইকে। স্ত্রীর কথা শুনে ফোন কিনে দিয়েছিলাম। তবে শিবানীর চেয়ে বেশি ফোন করত অনিতাকেই। দু’জনের ফোনালাপ চলত। তখন বুঝতে পারিনি ওদের মনে কী ছিল।’’ এক সপ্তাহ হতে চলল হবু জামাইয়ের সঙ্গে আলিগড়ের বধূ পালিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের এখনও কোনও হদিস মেলেনি। পুলিশ প্রথমে বলেছিল, উত্তরাখণ্ডে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পরে তারা খবর পায়, রাহুল এবং অনিতাকে গুজরাতে দেখা গিয়েছে। তবে এই তথ্য সত্যি কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনকে পালাতে রাহুলের কয়েক জন বন্ধু সাহায্য করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রাহুলের সেই বন্ধুদের ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, রাহুলের বাবার অভিযোগ, তাঁর পুত্রকে তাবিজ-কবচ পরিয়ে বশ করেছিলেন অনিতা। তিনি আরও জানান, রাহুলের যখন শরীর খারাপ হয়েছিল, পাঁচ দিন এসে তাঁর সঙ্গে থেকেছিলেন অনিতা। এর পরই তিনি সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘রাহুলকে ত্যাজ্যপুত্র করব। বাড়িতে আর কোনও ঠাঁই হবে ওর। আমাদের মান-সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।’’
অন্য দিকে, অনিতার স্বামী রাজেন্দ্রর দাবি, পালানোর পর পরই হবু জামাই তাঁকে ফোন করে বলেন, ‘‘১৯ বছর ধরে অনেক অত্যাচার করেছেন স্ত্রীর উপর। এ বার ভুলে যান। এখন থেকে আপনার স্ত্রী আমার।’’ ১৬ এপ্রিল অনিতার কন্যা শিবানীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু তার আগেই হবু জামাইকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান অনিতা। তার পর থেকে তাঁদের কোনও হদিস মেলেনি।