প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
‘পরজীবী’ অস্ত্রে আজ আবার কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে সুকৌশলে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’য় বিভাজনের বীজ বপনের চেষ্টা করলেন তিনি।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বার বার তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন কংগ্রেস ‘পরজীবী’। অন্যের কাঁধে চেপে তাদেরই ভোট খেয়ে নিজেদের আসন বাড়িয়েছে। পাশাপাশি, আজও মোদী বলেন, জরুরি অবস্থার সময় যে সব আঞ্চলিক দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েছিল, তারাই আজ ‘হাত’ ধরেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিভাজনের চেষ্টার পরেও উত্তরপ্রদেশের মাটিতে যে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর সম্পর্কে কোনও ফাটল ধরবে না, তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদব। গত কাল মোদী তাঁর ভাষণে নাম না করে রাহুলকে ‘বালক বুদ্ধি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আজ পাল্টা জবাব দিয়েছেন অখিলেশ। বলেছেন, “এই সব কথা বলা হয়েছে যাতে নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে কেউ প্রশ্ন না করে। যারা বালক-বুদ্ধি বলে কটাক্ষ করে, তারা নিজেরাই বালক (শিশু)। কারণ, মানুষ যখন ভোট দিয়ে তাঁদের বেছে নিয়েছেন, তখন এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। সরকারে এখন বালক আছে, যাদের দেশের সমস্যা বোঝার ক্ষমতা নেই।”
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও প্রধানমন্ত্রীর ‘পরজীবী’ মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, “আপনি কৃষকদের উদ্দেশেও এই শব্দ ব্যবহার করে তাঁদের অপমান করেছিলেন। যাঁদের সামনে আপনার স্বৈরাচারী সরকারকে মাথা নত করে তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।"
অন্য দিকে, সংসদে রাহুল বিশৃঙ্খলা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বাধা দিয়েছেন বলে আজ আসরে নামে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বালক-বুদ্ধি রাহুল গান্ধী যা করেছেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁর মা সনিয়া গান্ধীও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজিকে হেনস্থা করতেন। কিন্তু মোদীজি বাজপেয়ীজি নন, রাহুলও সনিয়া নন। পর পর তিন বার ফেল করা রাহুল নিজেকে ভাঁড়ের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy