ফৈজ়াবাদ থেকে জিতে আসা এসপি সাংসদ অবধেশ প্রসাদকে পাশে নিয়ে যুগলবন্দিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
এক দিকে ‘সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশের মুক্তির দিন’ হিসেবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলের তারিখটিকে তুলে ধরেছেন অখিলেশ। জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর উপরে তাঁদের ভরসা নেই। ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এলে, আগে ইভিএম বিদায় করা হবে। অযোধ্যায় (ফৈজ়বাদ কেন্দ্র) বিজেপির বিরুদ্ধে জয়কে দেশের গণতান্ত্রিক মানসিকতার জয় হিসেবেও তুলে ধরেছেন তিনি।
এসপি-র পক্ষ থেকে কৌশলগত ভাবেই বক্তা হিসেবে অবধেশকে বাছা হয়। বলতে উঠে অবধেশ অযোধ্যার বেহাল পরিস্থিতির কথা বিস্তারিত ভাবে বলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছেন। তাঁর বক্তৃতার সময়ে পাশে বসে সক্রিয় ভাবে সমর্থন, টেবিল চাপড়ানো এবং সূত্র ধরিয়ে সহায়তা করতে দেখা গিয়েছে তাঁর নেতা অখিলেশকেও।
অখিলেশ আজ ইভিএম-এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আমি গতকাল ইভিএমকে বিশ্বাস করিনি, আজও করি না। আমরা যদি (উত্তরপ্রদেশে) ৮০টি লোকসভা আসনের সবক’টিতেও জিতে যাই, তবু ইভিএমকে বিশ্বাস করব না। ইভিএমে জিতে এসে আমরা ইভিএম বন্ধ করব।” নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অখিলেশের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে কমিশনের কিছু ব্যক্তির উপরে ‘দাক্ষিণ্য’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবিধানিক সংস্থা নিরপেক্ষ হলে দেশে গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে।’’
ফৈজ়াবাদে বিজেপির পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে অখিলেশের বক্তব্য, এটি ভগবান রামের ইচ্ছা ছিল। তাঁর কথায়, “হোই ওয়হি জো রাম রচি রাখ (রাম যা পরিকল্পনা করেছেন, তা-ই হবে।” পরে
অবধেশ বলেন, ‘‘আমি খুবই দুঃখিত যে, রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় কোথাও অযোধ্যার কথা নেই। অথচ এই নামের মর্যাদা শুধু ওই এলাকার নয়, গোটা দেশের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘অযোধ্যায় যে রেলস্টেশন তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে মন্দিরের রাস্তা ১ কিলোমিটার। ওই রাস্তা নোংরা, কর্দমাক্ত। প্রভু রামের দর্শনে যাঁরা যাচ্ছেন, নোংরা পায়ে তাঁদের যেতে হচ্ছে। সেখানকার গরিব-দুর্বল-দলিত মহল্লা জলে ভরে আছে। বিমানবন্দর তৈরির নামে কৃষক, সাধারণ মানুষের জমি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)