উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে আগের বছরগুলির মতোই এ বারও বরাকের মুখ রাখল শিলচর শহরের রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজ।
তিন শাখায় তিন জেলা জুড়ে এ বার এক জনই কৃতী। বাণিজ্যে পঞ্চম অখিল অগ্রবাল। রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের ছাত্র অখিল এখন দিল্লিতে রয়েছেন। সিএ কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাবা-মা এলেও অখিলের অনুপস্থিতিতে তাই উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি কলেজে।
আর মেধা তালিকায় একটি স্থানের জন্য কতটাই বা উচ্ছ্বাস চলে! কলেজের ডিরেক্টর শ্রীমন্ত দত্ত অবশ্য গোটা উপত্যকার মধ্যে মেধা তালিকায় একমাত্র তাঁর কলেজের ছাত্রের নাম আসায় গর্ব বোধ করেন। অনেকের আবার এ নিয়ে ভিন্ন চর্চা। তাঁরা তুলনা টানছেন অন্যান্য বছরের সঙ্গে। ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয় ওই কলেজেরই ছাত্র সাংখ্য চক্রবর্তী ও যুগলকিশোর রাঠি। ২০১৩-য় বিজ্ঞান-বাণিজ্য-কলা সব বিভাগে কৃতীর ছড়াছড়ি ছিল। গত বছরও বাণিজ্য বিভাগে দু’টি স্থান মেলে রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের।
শ্রীমন্তবাবু বলেন, ‘‘তাই বলে এ বারের ফলাফলকে খারাপ বলা যায় না। অন্তত ১০ জন ছাত্র ৫-৬ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় ঢুকতে পারেনি।’’ তিনি জানান, অখিল অর্থবিদ্যায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। আত্মশ্রী রায় পদার্থবিদ্যায় রাজ্যের সর্বোচ্চ নম্বর ৯৮ পেয়েছেন।
সর্বোচ্চ নম্বরের তালিকায় অবশ্য কাছাড়ের আরও তিন কলেজ রয়েছে। বাংলায় ৯৪ পেয়েছেন শিলচর রাধামাধব কলেজের দেবপ্রিয়া পাল। আরবিতে ৯৬ পেয়েছেন সিরাজুল আলি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের আনসারুল হক চৌধুরী।
বিবেকানন্দ জুনিয়র কলেজের অর্পিতা রায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে তাঁর নম্বর ৪৬৬। মাত্র ২ নম্বরের জন্য অর্পিতা স্থানাধিকারী হতে পারেননি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১০০-তে ১০০ পাওয়ার আনন্দ তাই মিলিয়ে যায় ২ নম্বর কম পাওয়ার দুঃখে।
কলেজের ডিরেক্টর বারীন্দ্রকুমার দেব বলেন, ‘‘মেয়েটি অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমরা নিশ্চিত ছিলাম, সে কিছু একটা করবে। স্থান না-পেলেও আমরা তাঁর জন্য গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy