(বাঁ দিক থেকে) শরদ পওয়ার, গৌতম আদানি, অমিত শাহ এবং অজিত পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের এক সপ্তাহ আগে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এনসিপি প্রধান অজিত পওয়ার। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে যোগদানের জন্য তৎকালীন অবিভক্ত এনসিপি নেতৃত্ব সক্রিয়তা শুরু করেছিল।
অজিতের দাবি, সে সময় তিনি এবং তাঁর কাকা শরদ পওয়ারকে (অবিভক্ত এনসিপির তৎকালীন সভাপতি) সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন। এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘শিল্পপতি আদানি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন।’’ অজিতের ওই মন্তব্যের পরেই ভোটের মহারাষ্ট্রে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত আদানিকে নিশানা করেছে।
ইতিহাস বলছে, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পরে অজিত ‘বিদ্রোহী’ হয়েছিলেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ইস্তফা দিতে হয় তাঁদের দু’জনকে। এর পর অজিত আবার শরদের শিবিরে আশ্রয় নেন। তাঁকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ আঘাড়ী জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন শরদ।
কিন্তু ২০২২-এর জুন মাসে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনায় ভাঙন ধরলে মহাবিকাশ আঘাড়ী সরকারের পতন ঘটে। বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। এর পর ২০২৩ সালের ২ জুলাই শরদের সঙ্গ ছেড়ে অধিকাংশ এনসিপি বিধায়ককে নিয়ে বিদ্রোহী হয়েছিলেন অজিত। শিন্ডের নেতৃত্বাধীন ‘মহাজুটি’ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীও হন। কিন্তু ২০১৯ সালে শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেও পওয়ার কেন বিজেপির সহযোগী হলেন না? অজিতের যুক্তি, ‘‘পওয়ার সাহেবের (শরদ) মনে কী আছে তা কেউ বলতে পারে না। না আন্টি (শরদের স্ত্রী প্রতিভা), না সুপ্রিয়া (শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে)।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy