Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Assam Tea Garden

চা বাগান গেল, কিন্তু বিমানবন্দর কোথায়

সিটু-সহ শ্রমিক সংগঠনগুলি চা গাছ উপড়ে ফেলা এবং শ্রমিক কলোনি উচ্ছেদে তখন সায় দিয়েছিল। বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল।

tea garden.

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৩
Share: Save:

অসমে কাছাড় জেলার ডলুতে নতুন বিমানবন্দর তৈরির জন্য আড়াই হাজার বিঘা জমিতে চা গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। সেটা গত বছরের মে মাসের ঘটনা। বাগান কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান ছাড়া ১৬ মাসে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ বিন্দুমাত্র এগোয়নি। যাদের বিমানবন্দর তৈরির কথা, সেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এই ইস্যুতে নীরব। এগিয়ে এসে গ্যারান্টি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বিজেপির জেলা নেতৃবৃন্দ৷ এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের যেমন সংশয় বাড়ছে, তেমনি অধিকতর বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শ্রমিকরা। রাজ্য সরকার ১২৯৬ জন শ্রমিককে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করলেও শর্ত পূরণে হেলদোল নেই বাগান কর্তৃপক্ষের।

সিটু-সহ শ্রমিক সংগঠনগুলি চা গাছ উপড়ে ফেলা এবং শ্রমিক কলোনি উচ্ছেদে তখন সায় দিয়েছিল। বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল। এখন সিটুর অভিযোগ, চুক্তি রূপায়নের কাজ ৩৫ শতাংশের বেশি হয়নি। ৮০টি কাঁচা ঘর পাকা করার কথা ছিল‌। একটিও হয়নি। এ ছাড়া বকেয়া পাওনার অনেক কিছুই এখনও বাকি। খেলার মাঠ উন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি— কথা মতো হয়নি। সমস্ত কাজ চুক্তির এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু আঠার মাসেও সম্পূর্ণ হল না। এ বারও আশ্বাসবাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মাই। শিলচরে এসে বললেন, শ্রমিকদের ঘর তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণ নেই বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

এ দিকে, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন শুরু থেকেই চা গাছ উপড়ে বিমানবন্দর তৈরির বিরোধিতা করে চলেছে। তাঁরা একে বেআইনি অধিগ্রহণ বলে দাবি করে গৌহাটি হাই কোর্টে মামলা করে। ইউনিয়ন আশাবাদী, ওই মামলার রায়ে পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল হবে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকরা সমবায় গঠন করে ওই জমিতে ফের চা গাছ লাগাবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

airport Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE