ত্রিপুরায় কি বিরোধিতা ভুলে বিজেপি শিবিরে ভিড়বে তিপ্রা মথা? ফাইল চিত্র।
মাত্র একটি ফোন। আর তার জেরেই বদলে গেল ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতির রসায়ন। বৃহস্পতিবার সকালে তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোৎবিক্রম মাণিক্য দেববর্মাকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রদ্যোৎ জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র এবং স্বয়ংশাসিত তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিয়েছেন। জনজাতিদের অধিকাররক্ষার যে দাবি প্রদ্যোতের দল জানিয়ে আসছে, সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা চালাতে আগামী ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রের তরফে এক জন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রদ্যোৎ নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, “সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমায় ফোন করেছিলেন। আমার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি জানান ২৭ তারিখ কেন্দ্রের তরফে এক জন মধ্যস্থতাকারীকে নিযুক্ত করা হবে। আশা রাখি জনজাতিদের অধিকার নিয়ে আমাদের মধ্যে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা রক্ষা করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের ভাবাবেগ বুঝবেন।” ঘটনাচক্রে শুক্রবার নবনির্বাচিত ত্রিপুরা বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচন। স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার পদে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথার। কিন্তু প্রদ্যোতের দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের পর স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার পদে বিজেপিকেই সমর্থন জানাতে চলেছে দল।
৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ১৩টি আসন পেয়ে চমকপ্রদ ফলাফল করেছে তিপ্রা মথা। আসনসংখ্যার নিরিখে রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সন্তান প্রদ্যোতের দল। প্রথমবার ভোটে লড়তে নেমেই জনজাতি অধ্যুষিত আসনগুলি ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই প্রদ্যোৎকে নিজেদের শিবিরে আনতে সক্রিয় হয় বিজেপি। শাহের নির্দেশে এই বিষয়ে দৌত্য চালাচ্ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পরে আসরে নামেন শাহও। অনেকেই মনে করছেন, তিপ্রা মথাকে নিজেদের অনুকূলে আনতে আপাতত সফল বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy