ই শ্রীধরণ। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-তে তাঁর যোগ দান প্রায় পাকা। তার আগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে গলা মিলিয়েই ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে মুখ খুললেন ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণ। তাঁর দাবি, নিজের চোখে হিন্দু, মুসলিম এক খ্রিস্টান মেয়েদের ‘লভ জিহাদ’-এর শিকার হতে দেখেছেন তিনি। দায়িত্ব হাতে পেলে এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে দেখাবেন।
পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে কেরলে বিজেপির প্রার্থী হতে ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শ্রীধরণ। একটি সাক্ষাৎকার চলাকালীন তিনি বলেন, ‘‘লভ জিহাদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আমি। জানি বিয়ের নামে কী ভাবে হিন্দু মেয়েদের ফাঁসানো হয় এবং কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁদের। শুধু হিন্দু মেয়েরাই নন, মুসলিম এবং খ্রিস্টান মেয়েদেরও বিয়ের নামে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি তো অবশ্যই এর বিরোধিতা করব।’’
দেশের গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো প্রকল্প-সহ গণ পরিবহণের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা ৮৮ বছর বয়সি শ্রীধরণ ‘মেট্রো ম্যান’ নামেই পরিচিত। চলতি সপ্তাহেই গেরুয়া শিবিরের তাঁর যোগদানের খবর আসে। নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কেরলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলে প্রকাশ্যে নিজেও জানিয়েছেন। ‘বিজয়-যাত্রা’ চলাকালীন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা।
তার আগে ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মুসলিম ছেলের বিয়েকেই ‘লভ জিহাদ’ আখ্যা দিয়েছে দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের যুক্তি, ধর্মান্তরণের উদ্দেশেই হিন্দু মেয়েদের ভালবাসার জালে ফাঁসিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে মুসলিম ছেলেরা। যদিও মুসলিম মেয়েদের হিন্দু পরিবারে বিয়ে নিয়ে তেমন ওজর আপত্তি নেই তাদের।
এই ‘লক্ষ জিহাদ’ নিয়ে বিজেপি-র মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে সরব ছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিজের রাজ্যে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনও চালু করেছেন তিনি। ভালবাসার সম্পর্কে ধর্মের রং লাগানো সেই শিবিরে নাম লিখিয়ে শ্রীধরণ বিজেপি-র ‘যোগ্য’ সদস্য হয়ে উঠছেন বলে যদিও কটাক্ষ উড়ে এসেছে বিরোধী শিবির থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy