দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের জলকামান। ছবি: পিটিআই
হায়দরাবাদের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছিলই। শনিবার, সেই আগুন আরও ইন্ধন পেল উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতার মৃত্যুতে। এ দিন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের রাজধানী। তাতে শামিল হন বৃদ্ধা থেকে তরুণীরাও। উন্নাওয়ে নির্যাতিতার গ্রামে গেলে যোগী সরকারের দুই মন্ত্রীকেও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের স্মৃতি যেন ফিরে এল সাত বছরের মাথায়, সেই ডিসেম্বরেই। নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের পর বিক্ষোভের যে আঁচ স্পর্শ করেছিল দেশের রাজধানী-সহ বিভিন্ন শহর, এ দিন সেই ছবি ফিরে এল। দিল্লির রাজঘাট থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দিয়েছিলেন তরুণী থেকে বৃদ্ধা-সহ অনেকেই। তাঁদের মূল দাবি ছিল, উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে উপযুক্ত বিচার, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি। যোগী সরকারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সেই মিছিল বিক্ষোভের চেহারা নেয়। মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। কিন্ত সেই বাধা সরিয়েই এগনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে জলকামান পর্যন্ত ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। হায়দরাবাদ গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুতে তা নিয়ে ক্ষোভ কিছুটা স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুতে এ দিন নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে।
এ দিন উন্নাওয়ে নির্যাতিতার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন যোগী সরকারের দুই মন্ত্রী কমল রানি বরুণ এবং স্বামী প্রসাদ মৌর্য। কিন্তু, সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিহিংসা কখনও বিচার হতে পারে না’, তেলঙ্গানা এনকাউন্টারের পর দিনই মন্তব্য দেশের প্রধান বিচারপতির
আরও পড়ুন: উন্নাও গেলেন প্রিয়ঙ্কা, ধর্নায় অখিলেশ, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের ঘোষণা যোগীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy