এক বছরে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার পড়ে যাবে! দাবি বিজেপির ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। যে পাঁচ প্রতিশ্রতি দলীয় ইস্তাহারে রাখা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সেগুলোয় সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তবে বৈঠকের শেষেই কর্নাটকের পুরনো বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “আগে কর্নাটকে একটা অকাজের সরকার ছিল।” বিজেপির তরফে অবশ্য কটাক্ষ করে বলা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল, সেগুলির অধিকাংশরই বাস্তবায়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষ হতাশ।” সিদ্দারামাইয়া অবশ্য জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই সব প্রকল্প কার্যকর হয়ে যাবে রাজ্যে।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে আরও এক ধাপ এগিয়ে তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই বলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি এই সরকার এক বছরের মধ্যে পড়ে যাবে।” নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় আন্নামালাই জানান, সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার, কংগ্রেসের দুই নেতা মতপার্থক্য সরিয়ে কখনওই একসঙ্গে কাজ করবেন না। এমনকি দুই নেতার ‘দ্বন্দ্বে’র দিকে ইঙ্গিত করে ওই বিজেপি নেতা বলেন, “২০২৪ সালে দুই নেতা যদি একসঙ্গে লোকসভা ভোটে লড়েন, তবে তাঁদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে।” দুই নেতাকে তুষ্ট করে ভারসাম্যের মন্ত্রিসভা তৈরি করা হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
শনিবার সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের পাশাপাশি, শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি পরমেশ্বর শুক্রবার পর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতে অনড় ছিলেন। শনিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রভাবশালী এই দলিত নেতা। বাল্মিকী জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তাঁর দাদা, বিজেপির নেতা রমেশ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy