— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক দলিত মহিলাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিধায়ক আবাসে নিয়ে এসে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়ক গজেন্দ্রসিন পারমারের বিরুদ্ধে। মহিলা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও বিজেপি-শাসিত গুজরাতের পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। অবশেষে গুজরাত হাই কোর্টের নির্দেশে বনসকণ্ঠার প্রান্তিজ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গজেন্দ্রসিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণ, হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি তফশিলি জাতি ও জনজাতি আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ, ঘটনাটি ২০২০ সালের জুলাই মাসের। মহিলার অভিযোগ, সে বছর ৩০ জুলাই গান্ধীনগরে বিধায়ক আবাসনে তাঁকে ডেকে পাঠান বিজেপি বিধায়ক। তাঁকে বিয়ের নাম করে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন ওই বিজেপি নেতা। এমনকি তাঁকে ভয় দেখানোও হয় বলে অভিযোগে জানিয়েছেন মহিলা। ২০২১ সালে বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার অনুরোধ জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।
বিজেপির ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম নারী নিগ্রহের অভিযোগ নয়। রাজস্থানের এক নাবালিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। গত বছর সেই মামলায় গুজরাত হাই কোর্ট তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে।
বিরোধীদের অভিযোগ, দেশে ধর্ষকদের আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি! পারমারের উদাহরণ তুলে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, ধর্ষণ এবং নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০২২ সালের গুজরাত বিধানসভা ভোটে বিজেপি ওই নেতাকে ফের প্রার্থী করে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য এবং তাঁদের দলের মহিলাদের প্রতি মনোভাব এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি গুজরাতের বিজেপি সরকার এবং পুলিশের ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ওই বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার তো দূর, বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy