বাহানগা বাজার স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
করমণ্ডল দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর রবিবার রাতে বালেশ্বরের রেলপথ দিয়ে গড়িয়েছে ট্রেনের চাকা। সোমবার সকাল থেকে ওই লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চলতে শুরু করেছে। ধীর গতিতে ওই রেলপথ ধরে এগিয়েছে পুরীগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবারও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যে ট্রেনগুলির গতিপথ ওই রুট ধরেই।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভদ্রক এক্সপ্রেস, শালিমার-ভঞ্জপুর এক্সপ্রেস, বালেশ্বর-ভদ্রক-বালেশ্বর স্পেশাল, পুরী-বাংরিপোসি এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-বালেশ্বর স্পেশাল, হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, শালিমার-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, খড়গপুর-জাজপুর কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-তামবারাম অন্ত্যোদয়, শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে মালগাড়ির কামরার উপর উঠে যায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন। এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও রবিবার ওড়িশা সরকার মৃতের সংখ্যা জানিয়েছে ২৭৫। দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বালেশ্বরের ওই রেলপথে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। আপ লাইনে প্রথমে ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। ট্রেনের পরীক্ষামূলক দৌড়ের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
হাওড়া থেকে রেলপথে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রুট বালেশ্বর। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর তাই বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। যার জেরে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে বালেশ্বরের এই রেলপথ। দ্রুত পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে মরিয়া রেলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy