উপত্যকার একটি সংবাদপত্রে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের দেওয়া বিজ্ঞাপন।
নিষেধাজ্ঞা তো প্রত্যাহার হল, কিন্তু পর্যটক কই!
দিল্লির গ্রিন পার্ক এক্সটেনশনের জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন দফতর। দেওয়াল জুড়ে বরফে ঢাকা গুলমার্গে স্কি করার হাতছানি, মন কেমন করা টিউলিপ বাগানের দেওয়াল জোড়া পোস্টার জ্বলজ্বল করলেও, দেখতে যাবেন কে? ৩১ অক্টোবর ভাগ হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে লাদাখ। সব মহলেই আশঙ্কা, সে সময়ে অশান্ত হয়ে উঠবে না তো উপত্যকা! ইতিমধ্যেই দু’মাসের অস্থিরতা ও পর্যটনে নিষেধাজ্ঞায় প্রবল ভাবে মার খেয়েছে ওই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকা প্রায় পাঁচ লক্ষ কাশ্মীরির জীবন। পরোক্ষ প্রভাব আরও কয়েক লক্ষের উপরে।
জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা গত কালই প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার পর থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত মাত্র এক জনই পর্যটন দফতরে কাচের দরজা খুলে ঢুকেছেন বলে জানালেন কর্মী সন্দীপ। তা-ও ডিসেম্বর মাসে কাশ্মীরের পরিস্থিতি বেড়ানোর মতো থাকবে কি না, তা জেনেই চলে গিয়েছেন সেই উৎসাহী। দুর্গাপুজো-দেওয়ালি হয়ে শীত—বছরের শেষ চার মাস পর্যটকদের ভিড়ে রমরম করে কাশ্মীর। অন্য বছরে এ সময়ে পর্যটকদের ভিড়ে দফতরে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ থাকে না সন্দীপদের। এ বছর গোটা দফতরে শুধুই কি-বোর্ডের আওয়াজ।
দিল্লি হাটে জম্মু-কাশ্মীর টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের দফতরের ভাগ্য আরও খারাপ। কেউই আসেননি। তবে সংস্থার সহ অধিকর্তা সি বি কউলের মতে, ‘‘সবে তো নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। আশা করছি, আগামী দিনে পর্যটকেরা উৎসাহ দেখাবেন। তা ছাড়া, মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেই পরিস্থিতি অনেকাংশে পাল্টে যাবে।’’
ইন্টারনেটের অভাবে সাড়া নেই কাশ্মীরে পর্যটন ওয়েবসাইটগুলিতেও। কাশ্মীর হোটেল শিল্প সংগঠনের সভাপতি আসিফ বুরজাও অবিলম্বে মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করার জন্য দাবি করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, তা না-হলে শীতের পর্যটনও মার খাবে। লে-র পর্যটন দফতর থেকেও জানানো হয়েছে, তাদের কাছেও গত দু’দিন পর্যটকদের ‘বুকিং’-এর কোনও খবর নেই। তবে সরকারি সূত্রের খবর, খুব দ্রুত পর্যটকদের আশ্বস্ত করতে ঘোষণা করতে চলেছে পর্যটন দফতর।
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক পর্যটন কর্মীরা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, কাশ্মীর নিরাপদ কি না, তা নিয়েই তো মানুষের ভয়। যাবেন কে? এক কর্মীর কথায়, ‘‘এটা ঠিক, কিছু মানুষ কাশ্মীর যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা হাতে গোনা। সকলেই বুঝতে পারছেন কাশ্মীর এখন ফুটছে। তাই পরিবার নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তাঁরা নেবেন কেন?’’ তবে দিল্লির জম্মু-কাশ্মীর ভবনের সহ তথ্য অধিকর্তা বিদুষী কপূরের দাবি, ‘‘পর্যটকেরা নিশ্চিন্তে কাশ্মীর যান। কোথাও কোনও পর্যটক বিপদে পড়লে সরকার সব রকম ভাবে পাশে থাকবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy