প্রহরারত ভারতীয় সেনা। — ফাইল ছবি।
আমরা জানি, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসন ব্যর্থ করেছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু অজানা ছিল, গলওয়ানে ধাক্কা খেয়েও সবক শেখেনি চিনের লালফৌজ। ওই ঘটনার পরে আরও দু’বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনকে শায়েস্তা করেছিল সেনা। এ কথাও অজানাই থাকত যদি না সেনার অনুষ্ঠানের বীরত্বের জন্য পুরস্কৃতদের প্রশস্তিপত্রে লেখা ওই লাইনগুলি প্রকাশ্যে পড়া হতো।
গত সপ্তাহে সেনার পশ্চিম কমান্ডের অলঙ্করণ সমাবেশে বীরত্বের জন্য সেনাকর্মী এবং আধিকারিকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছিল। সেই পুরস্কারের প্রশস্তিপত্রও পাঠ করা হয় সেখানে। তাতেই উঠে এসেছে ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের এই অপ্রকাশিত কাহিনি। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-এর হঠকারী আগ্রাসনের কী ভাবে মোকাবিলা করেছিল ভারতীয় সেনা এবং তা করতে গিয়ে কোন পথে এল সাফল্য, তা বিস্তারিত ভাবে প্রশস্তিপত্রে বর্ণিত হয়েছে।
প্রশস্তিপত্রে বলা দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ নভেম্বরের মধ্যে। যদিও এ নিয়ে সেনার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। সেনার পশ্চিম কমান্ডের সদর দফতর চণ্ডীমন্দিরে। গত ১৩ জানুয়ারি সেখানেই বীরত্বের জন্য সেনাকর্মী এবং আধিকারিকদের পুরস্কৃত করার অলঙ্করণ সমারোহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশিত হয়েছিল। তা থেকেই সেনার বীরত্বের দুই অভিযানের কথা মানুষ জানতে পারেন। যদিও সোমবার থেকে সেই ভিডিয়োটিও নামিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের জুনে গলওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতির পর ভারতীয় সেনা ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের লালফৌজের মোকাবিলা করতে উচ্চ পর্যায়ের যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। এর পরেই সম্প্রতি জানা গেল, পূর্ব লাদাখে গলওয়ানের পরেও একই রকম ভাবে পর পর অন্তত দু’বার চিনের সেনার চূড়ান্ত আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবিলা করতে সফল হয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে শুধু পূর্ব লাদাখই নয়, চিনের ফৌজ অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একই রকম আগ্রাসনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy