রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে লোকসভায় তাঁর বক্তব্যের অংশ আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে কার্যবিবরণীর নথি থেকে। এ বারে ওই বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিনা নোটিসে অবমাননাকর, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর, অসংসদীয় অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এমনিতেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য ছাঁটাই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারচুপি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি থেকে পিছু না হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। তার সঙ্গেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি সরব হতে চাইছে। সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশের প্রথমার্ধের শেষ দিন। সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বৈঠকে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে সরকারের উপরে চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি যে ভাবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় আদানিদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মন্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যসভায় সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গেলেই চেয়ারম্যান ধনখড় আপত্তি তুলছেন, তা নিয়েও আলোচনা হবে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আজ দলের মঞ্চ থেকে অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার সব কিছুর উপরে ছড়ি ঘোরাতে, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সংসদে সাংসদদের বাক্স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। বিজেপি সংসদে স্বৈরতান্ত্রিক দাপট কায়েম করার দিকে এগোচ্ছে। তার জন্য বিরোধীদের ভয় দেখানো, নির্যাতন করা হচ্ছে। কোনও রকম অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার না করলেও রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গের আদানি গোষ্ঠী ও প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে করা প্রশ্ন সংসদের নথি থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিঙ্ঘভি। পাশাপাশি রাহুলের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের নোটিসের বিষয়টিও কংগ্রেসের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। দলের অভিযোগ, কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাটিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কোনও তদন্ত ছাড়াই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের একতরফা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখালেও তা সংসদ টিভি-তে দেখানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy