Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নিগৃহীতার আরোগ্য কামনা সেঙ্গারের!

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উত্তরপ্রদেশের বাইরে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে উন্নাও ধর্ষণ ও নিগৃহীতাকে হত্যার চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলা।

সীতাপুর জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে। রবিবার। ছবি: পিটিআই।

সীতাপুর জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে। রবিবার। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

উন্নাওয়ের নিগৃহীতাকে হত্যার চেষ্টায় প্রধান অভিযুক্ত বিজেপির প্রভাবশালী বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার ও তাঁর সহযোগীদের বাড়িতে রবিবার তল্লাশি করল সিবিআই। উত্তরপ্রদেশের লখনউ, বান্দা, উন্নাও এবং ফতেপুর জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ১০ অভিযুক্তের বেশ কয়েকটি বাড়িতে গোটা দিন তল্লাশি চলে। সুপ্রিম কোর্ট সাত দিনে এই তদন্ত শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে ২০ জন অফিসারকে নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। তাঁরাই তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উত্তরপ্রদেশের বাইরে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে উন্নাও ধর্ষণ ও নিগৃহীতাকে হত্যার চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলা। প্রধান অভিযুক্ত সেঙ্গারকে রবিবার সীতাপুর জেল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক বলেন, ‘‘মেয়েটির আরোগ্য কামনা করি। ঈশ্বর, হাইকোর্ট ও সিবিআইয়ের ওপর আমার ভরসা আছে।’’ রোজ শুনানি চালিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে মামলাগুলির ফয়সালা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

গত রবিবার সন্ধ্যায় রায়বরেলীতে গাড়িতে একটি ট্রাক ধাক্কা মারার পরে নিগৃহীতার কাকিমা ও তাঁর বোন মারা যান। নিগৃহীতা ও তাঁর আইনজীবীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির মা এবং আইনজীবী মহেন্দ্র সিংহের ভাই অভিযোগ করেন, সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছিল বিধায়কের অনুগামীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ট্রাকের ধাক্কা আসলে নিগৃহীতা ও তাঁর আইনজীবীকে হত্যার চক্রান্ত।

ট্রাকের মালিক দেবেন্দ্রকিশোর পালকেও রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। একটি সংবাদ সংস্থার কাছে দেবেন্দ্র দাবি করেন, সেঙ্গারের দলবলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। গাড়িতে কারা ছিলেন, সেটাও তাঁর চালকের জানা ছিল না। বৃষ্টিভেজা পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ট্রাকটির নম্বরপ্লেটে কেন কালো কালি লাগানো ছিল, সে ব্যাপারে মালিকের যুক্তি— গাড়িটির ঋণের কিস্তি বাকি পড়ে যাওয়ায় সেটি বাজেয়াপ্ত করার নোটিস জারি হয়েছিল। পুলিশকে ধোঁকা দিতেই দিন পনের ধরে ট্রাকটির নম্বর কালিতে ঢেকে রাখা হচ্ছিল। কিস্তি বকেয়া থাকার নথিও তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy