বন-জঙ্গলে ঘেরা রুক্ষ খাড়াই পথ বেয়ে ২২ ঘণ্টা ধরে হেঁটে পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছিল চার জঙ্গি। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালানোর সময় দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন জঙ্গিরা। একটি ফোন কাড়া হয় পর্যটকদের কাছ থেকে আর অপরটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে।
সূত্র মারফত আগেই জানা গিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের কোকেরনাগ থেকে ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ত্রালে পৌঁছে সেখান থেকে বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছেছিল জঙ্গিরা। ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাতে সহজে বৈসরনে পৌঁছোনো যায়, তার জন্য এক বিশেষ ধরনের মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিয়েছিল তারা। সেই অ্যাপ অনুসরণ করে পাইনের ঘন জঙ্গল পেরিয়ে বৈসরনে ঢুকে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় চার-পাঁচ জন জঙ্গি।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পর্যটকদের উপর হামলা চালায় চার জন। এই চার জনের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানি আর এক জন স্থানীয় জঙ্গি আদিল ঠোকর। ওই সূত্রের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, চার জনের মধ্যে দু’জন হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে পর্যটকদের কয়েক জনকে কলমা পড়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পালন করতে না-পারায় চার জনকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দৃশ্য দেখে অন্য পর্যটকেরা পালাতে শুরু করলে বাকি দুই জঙ্গিও গুলি চালাতে থাকে। গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে এক ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরায়। ভয়াবহ হত্যালীলার সময় ওই ক্যামেরাম্যান একটি গাছের উপর উঠে পড়েন। তদন্তে ওই ক্যামেরাম্যানের তোলা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।