প্রথমে মুম্বই, তার পরে ধাপে ধাপে চেন্নাই ও কলকাতার শহরতলিতে বাতানুকূল লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল। সূত্রের খবর— আজ, বৃহস্পতিবার রেল বাজেটে এই ঘোষণা করে চমক দিতে পারেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
লোকাল ট্রেনের পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অনুযোগের অন্ত নেই। প্রয়োজনের তুলনায় ট্রেন অকুলান, আবার ট্রেনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব। রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, লোকাল ট্রেনে এত ভর্তুকি দিতে হয়, পরিষেবার মান ভাল করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে যাত্রীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল রেল। তাতেই জানা গিয়েছে, উন্নত পরিষেবা পেতে যাত্রীরা কিছু বেশি খরচ করতেও রাজি। রেল সূত্রে খবর, যাত্রীদের ওই মনোভাবের কথা মাথায় রেখেই বাতানুকূল লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা।
রেলের এক কর্তা জানান, এখন লোকাল ট্রেনের মাসিক টিকিটের যা দাম, তাতে ১৫ দিন এক পিঠের যাত্রা সম্ভব। বাকিটা রেলের ভর্তুকি। বাতানুকূল ট্রেন চালানো গেলে, ২৫ দিন এক পিঠে যাওয়ার দাম নেওয়া হবে। মুম্বইয়ের শহরতলির ট্রেনে প্রথম শ্রেণি রয়েছে। তার যাত্রীরা বাতানুকূল ট্রেন বেশি পছন্দ করবেন এবং তাতে চাপতে বাড়তি টাকাও দেবেন। মুম্বইয়ের শহরতলিতে রেলযাত্রীর সংখ্যাও অনেক বেশি। তাই পাইলট প্রকল্পের জন্য মুম্বইকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই রেল কর্তা জানান, ‘‘সাফল্য মিললে ধাপে ধাপে এই পরিষেবা দিল্লি, চেন্নাই ও কলকাতার শহরতলির যাত্রীদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
সমাজের প্রান্তিক ও গরিব মানুষদের কথা ভেবে বাজেটে আরও একটি ঘোষণা করতে চলেছেন রেলমন্ত্রী। সব জোনেই মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির সাধারণ অসংরক্ষিত কামরা বাড়ানো হচ্ছে। রেল কর্তাদের একাংশ জানান, প্রস্তাবটি নতুন নয়। ২০০০ সালে এই ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা হলেও হয়নি। এ বার তাই আটঘাট বেঁধে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এগোতে চাইছে রেল। রেলের যুক্তি, একটি সংরক্ষিত থ্রি-টিয়ার কামরায় যেখানে ৭০টি শয্যা থাকে, অসংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত করেন ২৫০ থেকে ৩০০ যাত্রী। ফলে রেলের টিকিট বিক্রি বাড়বে। আবার গরিব মানুষও সস্তায় সফর করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy