প্রতীকী ছবি।
মন্দিরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে গেরুয়া উত্তরীয়ধারী কয়েক জন যুবক। তরজা চালাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে, স্লোগানও তুলছে। উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বড়ৌতের একটি কলেজের ভিতরের এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সদস্য ওই যুবকদের দাবি ছিল, মন্দির থেকে জৈন দেবীর মূর্তি সরাতে হবে। বসাতে হবে ‘হিন্দু দেবী’ সরস্বতীর মূর্তি।
গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার জন্য আজ ক্ষমা চেয়েছে এবিভিপি। তারা বলেছে, ঠিক তথ্য না-থাকার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনের নেতাদের অজানতেই তা ঘটেছে। এবিভিপি এই ঘটনা সমর্থন করে না। সমাজমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে এবিভিপি বলেছে, ‘‘মূর্তি নিয়ে যা হয়েছে, তার জন্য দিগম্বর জৈন সম্প্রদায়ের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। ক্যাম্পাস হল শিক্ষার মন্দির। সব ধর্মগ্রন্থ ও প্রথার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বাগপতের কয়েক জন কর্মী যা করেছে, তার জন্য সমগ্র সমাজের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’
ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। বড়ৌতের দিগম্বর জৈন কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সে দিন এবিভিপি-র সদস্যেরা কলেজে চড়াও হয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সঙ্গে আনা তালা লাগিয়ে দেয়। ক্যাম্পাসেই রয়েছে জৈন দেবী শ্রুতদেবীর একটি মন্দির। ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন রাজ্যপাল রাম নাইকের উপস্থিতিতে সেটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ওই যুবকেরা জুতো পায়েই মন্দিরে চড়াও হয়ে হুমকি দিয়ে বলে, সেখানে সরস্বতীর মূর্তি বসানো না-হলে মন্দির ও মূর্তি ভেঙে দেবে তারা। এলাকার জৈন সম্প্রদায়ের মানুষেরা এর পরে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পুলিশে স্মারকলিপি জমা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy