ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের দিনেই বিনায়ক দামোদর সাভারকরের প্রশংসা করলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর ওই টুইটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
নিজের টুইটার হ্যান্ডলে সিঙ্ঘভি লিখেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে সাভারকরের মতাদর্শকে সমর্থন করি না। কিন্তু তিনি এক জন সুদক্ষ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, দলিতদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করেছেন এবং দেশের জন্য কারবাসও করেছেন।’’ সিঙ্ঘভির সাভারকর-স্তুতিতে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। দলের নেতা আহমেদ পটেল ফোন করে সিঙ্ঘভিকে কড়া ভাষায় বলেছেন, ‘‘আপনার মতো প্রবীণ নেতা ভোটের সময় এমন মন্তব্যে দলের লোকসান হবে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনই কেন সিঙ্ঘভি এমন টুইট করতে গেলেন। তিনি এমন নেতা নন, যে তাঁর টুইটে ভোটে দারুণ প্রভাব পড়বে। তা হলে তিনি কি বিজেপিমুখী? রাজধানীর রাজনীতি নিয়ে যাঁরা নিয়মিত চর্চা করেন, তাঁদের একাংশের মতে, সিঙ্ঘভি অনেক দিন ধরেই বেসুরো গাইছেন। সম্ভবত হতাশা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তাঁর সাভারকর-স্তুতি। তাই সিঙ্ঘভির বিজেপিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে সাভারকরকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিল বিজেপি। যা নিয়ে বিতর্ক। কিছু দিন আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সাভারকরের বিরোধী নয়, কিন্তু তাঁর হিন্দুত্বের মতাদর্শকে সমর্থন করে না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর আমলেই সাভারকরের স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশিত হয়েছিল। বিরোধীরা বলছেন, মরাঠা রাজনীতির স্বার্থে সাভারকরকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। তা সামাল দিতেই সাভারকর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মনমোহন। কংগ্রেসের একাংশের মতে, সিঙ্ঘভির বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, তিনি দলীয় কোনও মঞ্চ থেকে বিষয়টির অবতারণা করেননি। করছেন ব্যক্তিগত টুইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy