অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল না অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। বাংলা থেকে অধীর চৌধুরীর দাবিতেই এই সিদ্ধান্ত কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট হল না। তবে ‘বিড়ম্বনা’র হাত থেকে রক্ষা পেল কংগ্রেস!
কংগ্রেসের নেতা এবং সাংসদ হলেও সিঙ্ঘভি নিয়মিত সুপ্রিম কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বা তৃণমূল নেতাদের হয়ে মামলা লড়েন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এআইসিসি নেতৃত্বের কাছে দাবি তুলেছিলেন, সিঙ্ঘভি যেন এই মামলায় রাজ্যের হয়ে না লড়েন। কলকাতা হাই কোর্টে এই বিষয়ে অন্যতম মামলাকারী ছিলেন অধীর নিজেই। সর্বোচ্চ আদালতে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শুনানির সময়ে দেখা গেল, রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী হয়ে অবতীর্ণ হলেন সুপ্রিম কোর্টের অন্য এক প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল। তাঁকে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে দেখা যায়নি। অধীরের হয়ে বরং কংগ্রেসেরই নেতা, রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক তঙ্খা সওয়াল করেছেন।
এই প্রসঙ্গে এ দিন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ সভাপতি অধীরের বক্তব্য, ‘‘আমাদের দাবির কারণেই এটা হয়েছে কি না, জানি না। তবে যা হয়েছে, ভালই হয়েছে। নইলে আগেই বলেছিলাম, আমাদের জন্য খুবই বিড়ম্বনার কারণ হত। তঙ্খাও মামলা নিয়ে লড়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।’’ অধীর এবং এ রাজ্য থেকে কংগ্রেসের আর এক সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীর তরফে দু’টি ক্যাভিয়েট জমা পড়েছিল। অধীর জানাচ্ছেন, তঙ্খার সঙ্গে কথা বলে দু’টি আবেদন একত্র করে নিয়ে আইনি লড়াই করা হয়েছে।
এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য সোমবার যখন আবেদন করা হয়, তখন ভার্চুয়াল শুনানিতে সিঙ্ঘভি যোগ দিয়েছিলেন। তবে তিনি কিছু বলেননি। অধীরের দাবি এবং এআইসিসি-র বার্তা পেয়ে নাকি শীর্ষ আদালতে গরমের ছুটির সময়ে দিল্লির বাইরে থাকায় সিঙ্ঘভি মামলা লড়লেন না, তা অবশ্য খোলসা হয়নি। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সিঙ্ঘভির সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আপত্তি উঠেছিল। সে সময়ে সিঙ্ঘভি জানিয়েছিলেন, তিনি এ সবে গুরুত্ব দেন না। নিজের পেশাগত বিষয়ে কাউকে নাক গলাতে দিতে তিনি নারাজ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সিঙ্ঘভিদের অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল ও সরকারের হয়ে মামলা লড়া নিয়ে দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদেরও আপত্তি আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy