উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে মুম্বই উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, উদ্ধবের ডাকে সাড়া দিয়েই মুম্বই গিয়েছেন অভিষেক। সেখানে উদ্ধবের বাসভবন মাতোশ্রীতে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসেন দুই নেতা। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে উদ্ধব এবং অভিষেকের। ‘ইন্ডিয়া’-র ভবিষ্যৎ নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরের দিনই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূলের সেনাপতি। যথাসময়ে সেই বৈঠক হয়েছে বুধবার। তার পরেও জোট শরিকদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করছেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার সকালে দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেককে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বাড়িতে। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ বৈঠক চলেছে। এর পর অভিষেকের বাড়িতে এসেছিলেন আপের রাজ্যসভার দুই সাংসদ রাঘব চড্ডা এবং সঞ্জয় সিংহ। এ ছাড়াও সকাল থেকে অভিষেক ফোনে ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক শরিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে খবর তৃণমূল সূত্রে।
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ভাল ফল করেছে ‘ইন্ডিয়া’। তারা ২৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন। এনডিএ সরকার গঠন করলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে আপাতত চাপে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। কারণ, ‘ইন্ডিয়া’র পাওয়া ২৩৩টি আসনের মধ্যে ২৯টি রয়েছে তৃণমূলের। সংখ্যার বিচারে জোট শরিকদের মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির পরেই। সেই কারণেই জোট শরিকদের সঙ্গে দফায় দফায় অভিষেক বৈঠক করছেন বলে মত অনেকের।
এনডিএ শরিকেরা বুধবার দিল্লিতে বৈঠকের পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন মোদী। সব ঠিক থাকলে আগামী রবিবার, ৯ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy