প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরে অপহৃত সেনা জওয়ান শাকির মনজুরকে খুন করল জঙ্গিরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো বার্তায় জঙ্গিদের তরফে আজ এই দাবি করা হয়েছে। এ দিনই বদগামে জঙ্গি হানার শিকার হয়েছেন বিজেপির এক নেতা। ওমপোরা রেলস্টেশনের অদূরে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে আব্দুল হামিদ নজরকে কাছ থেকে গুলি করে জঙ্গিরা। তাঁর তলপেটে গুলি লেগেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে তৃতীয় বার বিজেপির কোনও কর্মীকে নিশানা করল জঙ্গিরা।
শাকিরকে জঙ্গিরা খুন করেছে কিনা, তা নিয়ে কয়েক দিন থেকেই জল্পনা ছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরে ১৬২ টিএ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন তিনি। ইদের সময়ে শোপিয়ানে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। গত রবিবার কুলগাম থেকে অপহরণ করা হয় তাঁকে। তাঁর গাড়িটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই জওয়ানের জন্য শোপিয়ান ও কুলগামে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ ও সেনা। গত শুক্রবার শোপিয়ানের একটি জঙ্গল থেকে শাকিরের পোশাক মেলে। তখন থেকেই জল্পনা ছিল, অপহৃত ওই জওয়ানকে হয়তো খুন করেছে জঙ্গিরা। শাকিরের বাবা মনজুর আহমেদ ওয়াগে ছেলেকে হত্যা না-করার জন্য জঙ্গিদের উদ্দেশে আর্জি জানান। শাকির কী অবস্থায় রয়েছেন, তা-ও জানতে চান তিনি। এর সঙ্গেই বলেন, জঙ্গিরা যদি শাকিরকে হত্যা করে থাকে, তা হলে তাঁর দেহ পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এই পরিস্থিতিতেই একটি অডিয়ো বার্তা সামনে এসেছে। তাতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, অপহরণের পরে শাকিরকে খুন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, শাকির তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন, এমন অভিযোগ মিলছিল। দীর্ঘ দিন থেকেই তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছিল। এর পরেই তাঁকে অপহরণ করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অডিয়ো বার্তায় এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘আমরা পরিবারের দুঃখ বুঝতে পারছি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেনা জওয়ানের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়। যেমন ভাবে সেনাবাহিনীও আমাদের সতীর্থদের মেরে ফেলার পরে অজ্ঞাত জায়গায় কবর দিচ্ছে।’’ কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন, অডিয়ো বার্তার সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আজই পুঞ্চে উদ্ধার হয়েছে এক জঙ্গির দেহ। শুক্রবার কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় দু’জন। একটি দেহ আজ উদ্ধার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy