রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (ছবিতে বাঁ দিকে) এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: পিটিআই।
মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভে বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তপ্ত থাকল সংসদ। মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোমবার রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। ‘সাংসদ পদের অবমাননা’ করার কারণে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এর পাশাপাশি, ২৬৭ নম্বর ধারায় মণিপুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সতর্ক করেন ধনখড়।
সোমবার রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়াল সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেন। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাস হয়। তার পরেই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করার কথা জানান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তার আগে অবশ্য ‘আপত্তিকর ব্যবহার’-এর জন্য সঞ্জয়কে বেশ কয়েক বার সতর্ক করেন ধনখড়। তাঁকে নিজের আসনে গিয়ে বসারও অনুরোধ করা হয়। তার পরেও মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সঞ্জয়-সহ বেশ কিছু বিরোধী সাংসদ।
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, তাদের কোনও কথা না শুনেই, তাদের মতামত না নিয়েই চেয়ারম্যান সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করেছেন। এর পর চেয়ারম্যানের কক্ষে বিরোধী দলের নেতারা গিয়ে ধনখড়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। দুপুর ১টার সময় চেয়ারম্যান সমস্ত দলের নেতাদের নিজের কক্ষে ডাকেন। সেখানে আপের তরফে ছিলেন রাঘব চাড্ডা এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে শান্তনু সেন। অভিযোগ, চেয়ারম্যান খুব রূঢ় ভাবে তাঁদের দু’জনকে সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। যার প্রতিবাদে সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা ওই সভা থেকে বেরিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy