আবগারি দুর্নীতিতে জেলে যাওয়ার ফলে আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন তিনি। এ বার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও হেরে যাওয়ায় গিয়েছে বিধায়ক তকমা। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন, পঞ্জাব থেকে রাজ্যসভায় জিতে জাতীয় রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার কৌশল নিতে পারেন আপ-এর আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় আপের দশ জন সাংসদ রয়েছেন। যার মধ্যে সাত জনই পঞ্জাব থেকে। দিল্লি থেকে আপের রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা মাত্র তিন। এই মুহূর্তে দিল্লি বা পঞ্জাবে রাজ্যসভা নির্বাচন নেই। কেজরীওয়ালকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে নিয়ে আসতে গেলে কোনও একজন আপের সাংসদকে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিতে হবে। চলতি বিধানসভা ভোটের পরে দিল্লিতে আপের বিধায়ক সংখ্যা কমে হয়েছে ২২ জন। যা রাজ্যসভায় কোনও প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার পক্ষে যথেষ্ট নয়। তাই কেজরীওয়ালকে রাজ্যসভায় আসতে গেলে পঞ্জাব থেকেই জিতে আসতে হবে। বর্তমানে ওই রাজ্যের সাত সাংসদের মধ্যে সন্দীপ পাঠকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৮-এ। আপ নেতৃত্ব বলছেন, কেজরীওয়াল যদি রাজ্যসভায় আসার কথা ভাবেন, সে ক্ষেত্রে সন্দীপের স্থানে সাংসদ হতে পারেন তিনি। কারণ সাংসদ হিসাবে তাঁর এখনও প্রায় সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় বাকি রয়েছে। ফলে তাঁর স্থানে কেজরীওয়াল এলে ওই দীর্ঘ সময় রাজ্যসভায় দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)