দিল্লির বিধানসভা ভোটের আগে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (আপ) ভোটার তালিকায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের অভিযোগ, বিজেপির চক্রান্তে কয়েক হাজার প্রকৃত ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
কেজরী শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘শাহদারা, জনকপুরি, লক্ষ্মীনগর এবং অন্যান্য কয়েকটি বিধানসভা আসনে হাজার হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে।’’ সেই আবেদন মেনে ভোটার তালিকা ‘সংশোধনের’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি শাহদারা এলাকায় ১১ হাজার ১৮ জন জন ভোটারের নাম মুছে ফেলার জন্য একটি আবেদন জমা দিয়েছে, আমরা সেই আবেদনের ৫০০টি নাম পরীক্ষা করেছি। তাঁদের ৭৫ শতাংশই এখন সেখানে বসবাস করছেন। কিন্তু তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।’’
আরও পড়ুন:
২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে শাহদারা থেকে আপ প্রার্থী ৫০০০ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বেছে বেছে ১১ হাজারের বেশি ভোটারের নাম বাদ দিয়ে বিজেপি আসনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তাঁর অভিযোগ। এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে কমিশনের কাছে শুক্রবার রাতের মধ্যে সমস্ত ‘অ্যাপ্লিকেশন’ আপলোড করার আবেদন জানিয়েছেন কেজরী। ভোটার তালিকায় জালিয়াতির বিরুদ্ধে দলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। কেজরী গত ২১ নভেম্বর প্রথম দফায় ১১ জন দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঘটনাচক্রে, তাঁদের মধ্যে ছ’জনই দলবদলু। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল কেজরীর দল। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী সাড়ে ন’বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে গত সেপ্টেম্বরে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অতিশী। লোকসভা ভোটে দিল্লিতে আপ-কংগ্রেস সমঝোতা করে লড়লেও সাতটি আসনেই জিতেছে বিজেপি। কেজরী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে নয়, একার শক্তিতেই দিল্লি বিধানসভা ভোটে লড়বে আপ।