ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার রামলীলা ময়দানে দিল্লি ভোটের দিকে তাকিয়ে প্রথম সভা নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে আগেই উত্তাল হয়েছে দিল্লি। আজ যদিও নতুন করে হিংসা ছড়ায়নি। কিন্তু ভোটের আগে এই লড়াই বাধাচ্ছেন কে? এই প্রশ্নটিই আজ তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
গত দু’দিন ধরে দিল্লিতে শান্তি ফেরানোর জন্য কেজরী দেখা করতে চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। অথচ সময় পাচ্ছেন না। কেজরীবালের কটাক্ষ: ‘‘এ দেশে এ ধরনের হাঙ্গামা কারা বাধান, সকলেই জানেন।’’ কিন্তু বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলছে আপ ও কংগ্রেসের নেতাদের দিকেই। দিল্লিতে বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, ‘‘গত শনিবার রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের জনসভার পরেই কেন দিল্লিতে হিংসা শুরু হল?’’
সব ঠিক থাকলে সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকেই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট। তার আগে মেরুকরণের রাজনীতির ফায়দা কে পাবে? আপ, বিজেপি না কংগ্রেস?
অমিত শাহ দাবি করছেন, ‘‘দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি।’’ কিন্তু দলের নেতারা কবুল করছেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। কারণ, গত বিধানসভা ভোটে কেজরীবালের দল দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতেই জিতেছিল। ফলে লড়াই কঠিন। তার উপর সস্তায় বিদ্যুৎ-জল, বিনামূল্যে বাস সফর, স্কুল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভোল বদলে দেওয়ার ফলে হাওয়া এখনও অনেকটা কেজরীর দিকে। দিল্লির অবৈধ কলোনিকে বৈধতা দেওয়ার ফল এখনও সে ভাবে ফলতে শুরু করেনি। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও বিজেপিতে অনেক। ফলে দলের কোন্দলও সামাল দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মেরুকরণই একমাত্র মোড় ঘোরাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বদলের ইঙ্গিত মন্ত্রিসভা ও দলে
রবিবার মোদী নামক ‘ব্র্যান্ড’-এ শান দিতেই নামছে বিজেপি। কিন্তু আপ নেতারা মনে করছেন, যে ভাবে বিজেপি হিন্দু ভোটকে সংগঠিত করতে চাইছে, সে চেষ্টা ভাঙতে হবে। নচেৎ সংখ্যালঘুরা এককাট্টা হলে কংগ্রেসের ভোট বাড়তে পারে। সে সম্ভাবনা ওড়াচ্ছে না কংগ্রেসও। সে কারণে আরও তেড়েফুঁড়ে উন্নয়নের হাতিয়ারে জনতাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন কেজরীবাল। দাবি করছেন, ‘‘যারা হারবে, তারাই নাগরিকত্ব আইন আনছে। তারাই লড়াই বাধাচ্ছে। আমরা স্কুল, চিকিৎসা, জল, বিদ্যুতের মতো বিষয় নিয়ে ভোটে যাচ্ছি।’’
বিজেপি পাল্টা বলছে, লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি ৬৫ বিধানসভায় এগিয়ে আছে। কিন্তু আপের বক্তব্য, মানুষ লোকসভা আর বিধানসভায় ভিন্ন কারণে ভোট দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy