শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের পর অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রদ্ধার খুনে অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব। খুনের পর শ্রদ্ধার হাতের আংটি খুলেও নতুন বান্ধবীকে উপহার দিয়েছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধার খুনের তদন্ত করতে আফতাবের সেই বান্ধবীকে ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন আরও নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
আফতাবের নতুন বান্ধবী দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছেন, আফতাবকে দেখে কখনওই মনে হয়নি যে ও কাউকে খুন করতে পারে। সেই বান্ধবীর কথায়, ‘‘ও আমার খুব খেয়াল রাখত। শান্ত স্বভাবের ছিল আফতাব।’’ তাঁর সঙ্গে আফতাবের আলাপ হয় একটি ডেটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। অক্টোবর মাসে ২ বার ছতরপুরের ফ্ল্যাটে আফতাবের সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটের ভিতর কোনও কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন:
আফতাব নাকি মাঝেমধ্যেই মুম্বইয়ের বাড়ির কথা বলতেন। বিভিন্ন রেস্তরাঁ থেকে নিরামিষ খাবার অর্ডার করতেন আফতাব। আংটি ছাড়াও তাঁকে দামি সুগন্ধি উপহার দিতেন আফতাব, জানিয়েছেন আফতাবের বান্ধবী। ধূমপান করার স্বভাব ছিল তাঁর। বহু বার নেশা ছাড়ার কথাও বলেছিলেন বান্ধবীকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আফতাবের ওই বান্ধবী পেশায় মনোবিদ। শ্রদ্ধার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। বর্তমানে তিনি কাউন্সেলিং করাচ্ছেন বলেও জানান পুলিশকে। দিল্লি পুলিশ আফতাবের সমস্ত সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে ফুড ডেলিভারি অ্যাপের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ‘জ়োম্যাটো’ ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে মাঝেমধ্যেই দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করতেন আফতাব। কিন্তু মে মাসের পর খাবার অর্ডার দেওয়ার পরিমাণ কমে আসে।
শুধু মাত্র এই মহিলার সঙ্গেই সম্পর্কে জড়াননি আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুন করার পর আরও ১৫ থেকে ২০ জন মহিলার সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে দিল্লি পুলিশের দাবি।