Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তান ও চিনকে কড়া বার্তা ভারতের

পাকিস্তান এবং চিন—এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে আজ একযোগে কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি। ২৪ মে বেজিং সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছ’বছর পর কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রপতির এই চিন যাত্রা। তার ঠিক আগে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আবহাওয়া ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৬ ০৩:৪২
Share: Save:

পাকিস্তান এবং চিন—এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে আজ একযোগে কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি। ২৪ মে বেজিং সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ছ’বছর পর কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রপতির এই চিন যাত্রা। তার ঠিক আগে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আবহাওয়া ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের সম্ভাবনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে সাউথ ব্লকের। ওই এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির নীল নকশাও বেজিং বানিয়ে ফেলেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আবার সেই সব প্রকল্পের সুরক্ষার অজুহাতে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সেনাও পাঠাচ্ছে চিন। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনার ঘাঁটিতে চিনাদের গতিবিধি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি জানায় তারা। ভারতকে চাপে রাখতেই পাকিস্তান এবং চিন এই পদক্ষেপ করেছে বলে ধারণা সাউথ ব্লকের। ইরানের চাবাহার বন্দরে ভারতের উপস্থিতি দীর্ঘ দিন ধরেই অস্বস্তিতে রেখেছে বেজিং-ইসলামাবাদকে। তাই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা পাঠিয়ে চিন চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও মনে করেন অনেকে। সম্প্রতি চিনের এই গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে আমে‌রিকাও।

এ দিন পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। তাঁর কথায়, ‘‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা কার্যকলাপের বিষয়টি নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। চিনা নেতৃত্বকে ভারতের আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে চিনকে কোনও কাজ না করতে বলা হয়েছে।

এই কাশ্মীর প্রশ্নেই ইসলামাবাদের প্রতিও আজ একই ভাবে খড়গহস্ত হয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। গত এক মাস ধরে কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং হান্দোয়ারায় বিক্ষোভ চলছে। এক সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে একটি ১৬ বছরের মেয়ের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকও। তাদের দাবি, হান্দোয়ারার ঘটনা নিয়ে ভারত ঠিক পদক্ষেপ করেনি। আজ বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘পাকিস্তান-সহ কোনও দেশের কাছ থেকে আমাদের কাশ্মীর নিয়ে বক্তৃতা শোনার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তান নিজে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের স্নায়ুকেন্দ্র। সে দেশে নিয়মিত ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন।’’ এখানেই না থেমে মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy