Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Gyanvapi Case

খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিদেশ থেকে! অভিযোগ জ্ঞানবাপীতে পুজোর অনুমতি দেওয়া সেই বিচারকের

বারাণসী জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার (এসএসপি) সুশীল চন্দ্রভান ঘুলেকে চিঠি লিখে চলতি সপ্তাহেই বিচারক বিশ্বেস জানান, বিদেশি ফোন নম্বর থেকে ক্রমাগত খুনের হুমকি পেয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৫
Share: Save:

তিন মাস আগে জ্ঞানবাপীর ‘ব্যাস কা তহখানা’-য় হিন্দুপক্ষকে পুজো এবং আরতি করার অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। বারাণসী জেলা আদালতের সেই বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস বৃহস্পতিবার অভিযোগ করলেন, বিদেশি ফোন নম্বর থেকে ক্রমাগত তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

বারাণসী জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার (এসএসপি) সুশীল চন্দ্রভান ঘুলেকে চিঠি লিখে চলতি সপ্তাহেই বিচারক বিশ্বেস জানান, বিদেশি ফোন নম্বর থেকে ক্রমাগত খুনের হুমকি পেয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এর পরেই তাঁর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, জ্ঞানবাপী মামলায় শুনানিতে অংশ নেওয়া ইলাহাবাদ হাই কোর্টের এক বিচারপতিকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপীর ‘ব্যাস কা তহখানা’য় হিন্দু ভক্তদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিলেন বারাণসীর জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বেস। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্দেশকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানায় ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’। ঘটনাচক্রে, প্রায় একই সময় বারাণসী আদালতের নির্দেশ মেনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’-য় শুরু হয়ে যায় আরতি এবং পুজোপাঠ। এর পর মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট জ্ঞানবাপীতে পূজা-আরতির অনুমতি বহাল রাখে।

২০২১ সালের অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেব-দেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর তত্ত্বাবধানে মসজিদের অন্দরের ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর। সেই রিপোর্ট জমাও পড়েছিল আদালতে। কিন্তু সে সংক্রান্ত নির্দেশ ঘোষণার আগেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বেসের এজলাসে জ্ঞানবাপী মামলা স্থানান্তরিত হয়।

এর পরে বিচারক বিশ্বেস হিন্দু পক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ (আর্কিয়োলজিক্যল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে জ্ঞানবাপী চত্বরে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৫ জানুয়ারি পেশ করা রিপোর্টে এএসআই জ্ঞানবাপীর তলায় ‘হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে’ বলে জানায়। তার পরেই দক্ষিণের ওই তহখানায় পূজা, আরতির অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারক বিশ্বেস।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy