এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সময় আসেনি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ হঠাৎই কিছুটা হলেও নিম্নমুখী অভিমুখ নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। গত ক’য়েক মাসে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে বৃদ্ধি পাওয়ার ধারা বদলে গত দু’সপ্তাহে ৬০ হাজারের আশপাশেই ঘোরা ফেরা করছে মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণের এই সংখ্যা আপাতভাবে আশাব্যঞ্জক না মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলে কিছুটা কমেছে। তবে তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, এ নিয়ে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো সময় আসেনি।
মহারাষ্ট্রের সংক্রমণের ধারা নিয়ে গবেষণা করছে চেন্নাইয়ের ম্যাথেমেটিকাল সায়েন্স ইনস্টিটউটের একটি দল। তারা জানিয়েছে, কিছু দিন আগেই পঞ্জাবেও একই ভাবে কমতে শুরু করেছিল সংক্রমণের হার। কিন্তু গত এক সপ্তাহে তা আবার বেড়ে আগের থেকেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাই আশঙ্কা কেটেছে ভেবে এখনই স্বস্তি পাওয়ার কারণ নেই। তবে এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ কমাতে টিকাকরণের ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা। যত দ্রুত সম্ভব বেশি সংখ্যায় মহারাষ্ট্রবাসীকে যাতে এই টিকা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেই সাহায্য করার কথা বলেছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা। রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কিছু দিন আগেও দেশের মোট সংক্রমণের সিংহভাগ, প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল মহারাষ্ট্রের দখলে। সেই সংখ্যা সম্প্রতি নেমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে। মহারাষ্ট্রের করোনা পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণাকারী চেন্নাইয়ের ওই দলটি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতেও মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার ছিল ১.৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন রোগী ১৩৮ জনকে সংক্রমিত করছিল সেই সময়ে। এই হার এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ১.১৩ শতাংশে। গোটা দেশে এই হার বর্তমানে ১.৩১ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy