স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার গ্বালিয়রের যুবক। যদিও প্রথমে এই খুনকে পথ দুর্ঘটনা বলে চালানোর ছক কষা হয়েছিল! পুলিশও প্রথমে সেই তত্ত্ব মেনেও হয়। পরে তদন্তে নেমে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। জানতে পারেন, মহিলাকে খুনের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারি গ্বালিয়রের কাম্পু এলাকার শীতলা রোডে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। সেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী প্রদীপ গুর্জর। যদিও ওই দুর্ঘটনায় তিনি কোনও আঘাত পাননি। পুলিশ প্রথমে দুর্ঘটনা নিয়ে প্রদীপের যুক্তি মেনে নিয়েছিল। সেই মতো তদন্তও শুরু করে। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত প্রামাণ্য বিষয়ের সঙ্গে প্রদীপের কথার অসঙ্গতি মেলে। সন্দেহ আরও গাঢ় হয় মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।
আরও পড়ুন:
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, ওই মহিলার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয়, তাঁকে কেউ বা কারা পিটিয়ে খুন করেছেন! তার পরই মৃতার পরিবার থানায় প্রদীপ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তাদের বক্তব্য, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ওই মহিলাকে নানা ভাবে অত্যাচার করত তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি মারধরও করা হত বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রদীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। প্রদীপ জানান, টিভিতে বিভিন্ন অপরাধমূলক শো দেখে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রদীপ ছাড়াও খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাঁর বাবা রামবীর এবং কাকার দুই পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।