নীতীশ কুমার- ফাইল চিত্র।
বিরোধীরা একজোট হলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল অন্য রকম হবে। শুক্রবার পটনায় এমনই দাবি করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুক্রবারই মণিপুরে নীতীশের দল জেডি(ইউ)-র ছ’জন বিধায়কের মধ্যে পাঁচ জন দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে নীতীশকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন।
শনিবার জেডি(ইউ)-র রাজ্য কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে নীতীশ জানান, দলত্যাগী বিধায়কদের শনিবারের জাতীয় কার্যনিবাহী সমিতির বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তাঁরা কিছু দিন আগে আসার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন নীতীশ কুমার। তার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নীতীশ বলেন, “এটাই কি সাংবিধানিক পথ? মানুষ বিজেপির এই আচরণ প্রত্যক্ষ করছে। আসলে বিজেপি চায় না, দেশে কোনও বিরোধী দল থাকুক।”
২০২০ সালে বিজেপির সঙ্গে জেডি(ইউ)-র জোট থাকাকালীন অরুণাচল প্রদেশে নীতীশের দলের সাত বিধায়কের মধ্যে ছ’জন বিজেপিতে যোগ দেন। আজ সে দিকেই ইঙ্গিত করে বিহারের বিজেপি নেতা, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী নীতীশকে কটাক্ষ করে বলেন, “অরুণাচলের পর মণিপুরও জেডি(ইউ)-মুক্ত হল। এবার লালুপ্রসাদ যাদব বিহারকেও জেডি(ইউ)-মুক্ত করে দেবেন।”
এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর নীতীশ জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর কোনও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। কিন্তু দেশের সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। কিছু দিন আগেই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিহারে এসে নীতীশের সঙ্গে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। এই প্রেক্ষিতে নীতীশের শনিবারের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy