—প্রতীকী চিত্র।
প্রায় দুই দশক আগে শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছিলেন। তা নিয়ে ১৭ বছর ধরে মামলা চলছিল আদালতে। ঘটনাটি শ্বশুরের দায়ের করা সেই মামলায় সম্প্রতি সাজা ঘোষণা করেছে নিম্ন আদালত। ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুরে। জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন শ্বশুর।
আদালতের সাজা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, তা প্রথাগত ধারণা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কোনও কারাদণ্ডের নির্দেশ নয়, অভিযুক্ত জামাইকে ২৫টি চারাগাছ রোপণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে বিচারক জানিয়েছেন, চারাগাছগুলি যে ঠিকঠাক রোপণ করা হয়েছে, সেই মর্মে স্থানীয় থানা থেকে একটি শংসাপত্র নিয়ে আদালতে জমা করতে হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। শ্যালিকা বুলো কুমারীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা রাজকুমার মণ্ডল। শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে শ্বশুর নারায়ণ মণ্ডলের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। অভিযোগ, শ্বশুরকে হুমকিও দিয়ে বসেন জামাই। বলেছিলেন, যদি শ্যালিকার সঙ্গে বিবাহে অনুমতি দেন একমাত্র তা হলেই বর্তমান স্ত্রী গুহো দেবীকে তিনি নিজের সঙ্গে থাকতে দেবেন। বিষয়টি এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পর, তড়িঘড়ি অন্য পাত্রের সঙ্গে বুলোর বিয়ে দিয়ে দেন তাঁর বাবা। সদ্যবিবাহিতা শ্যালিকাকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজকুমার।
এর পর শুরু হয় মামলা-মোকদ্দমার পর্ব। জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান শ্বশুর। প্রথমে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় থানা। রাজকুমার ও তাঁর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান নারায়ণ। তদন্ত শেষে চার্জশিটও জমা করে পুলিশ।
তবে মামলার নিষ্পত্তি করার সময় আদালত অভিযুক্ত জামাইকে প্রথাগত কোনও সাজা দেয়নি। শ্যালিকাকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে ১৭ বছর ধরে মামলা চলার পর বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, রাজকুমারকে ২৫টি চারাগাছ রোপণ করতে হবে। এর পর সেই শংসাপত্র আদালতে জমা করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy