বারুইপুরের সেই ট্যাক্সিচালক সহিদুল লস্কর। নিজস্ব চিত্র
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর উদ্যোগের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ডাকা ‘সিটিজেন্স মিটে’ উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন বারুইপুরের ট্যাক্সিচালক সহিদুল লস্কর সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
তবে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীকে ই-মেলে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে তাঁকে ‘রাজধর্ম’ পালনের আর্জি জানিয়েছেন। সঙ্গে জুড়েছেন সতর্কবার্তা— ‘ক্ষমতার শিখরে পৌঁছে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে যারা পৃথিবীতে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছেন, তাদের পতন হয়েছে’।
চিকিৎসার অবহেলার বোন মারুফার মৃত্যু হয়েছিল ২০০৪ সালে। বোনের স্মরণে মানুষের দান করা অর্থে বারুইপুরের পুঁরি গ্রামে হাসপাতাল গড়ছেন বছর পঁয়তাল্লিশের সহিদুল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সহিদুলের প্রশংসা করেছিলেন। ‘মন কি বাতের’ পঞ্চাশতম সম্প্রচারে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডু বিদ্যায়তন (হাই) থেকে মাধ্যমিক পাশ করে চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু অভাবের কারণে পড়াশোনা চালাতে পারেননি সহিদুল। ১৯৯৩ সালে ট্যাক্সির স্টিয়ারিং ধরেন। অবসর সময়ে কবিতা লেখেন।
মোদীকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় সহিদুল লিখেছেন, ‘আপনার দেখানো স্বপ্নপূরণ না হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ আপনার উপরে ভরসা রেখেছেন এবং দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। যে গুরুদায়িত্ব আপনার উপরে বর্তেছে, তা রাজধর্ম ভেবে সঠিক ভাবে পালন করলে
মঙ্গল হবে’।
গত ১৪ মে বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের তরফে নিউটাউনের একটি হোটেলে ‘সিটিজেন্স মিট’-এ আমন্ত্রিত ছিলেন সহিদুল। তবে তিনি যাননি। সহিদুলের বক্তব্য, ‘‘আমি রাজনীতির লোক নই। প্রধানমন্ত্রী আমার কথা ‘মন কি বাত’-এ বলেছিলেন। সেই কারণেই আমি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy